জয়পুরহাটে প্রেমঘটিত ঘটনার জের ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, মাহমুদ তারিক, আব্দুল গফুর, সোহাগ, তৌফিকুল ইসলাম, জুয়েল ওরফে বখতিয়ার ও হাসিবুল হাসান।
আসামিদের মধ্যে আব্দুল গফুর ও সোহাগ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশবিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম ঈদ উপলক্ষে ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়িতে নিজ গ্রামে আসেন। রহিম বাড়িতে আসলে বেগুন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে যেত। দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে ওই বাড়িতে তার যাতায়াত ছিল। ইতিপূর্বে আসামিরা তাকে দেলোয়ারের বাড়িতে যাতায়াত করার কারণে শাসিয়েছিল। দেলোয়ারের মেয়ে দোলাকে আসামি ঝন্টু বিয়ে করবে বলে ওই বাড়িতে না যাওয়ার হুমকি দেয়। ২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আব্দুর রহিমের ভাই আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে আক্কেলপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দোলাকে বিয়ের করার জের ধরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে মামলার বাদী নিহত রহিমের ভাই মামলায় উল্লেখ করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর রোববার এ রায় দেন।
মন্তব্য করুন