রাত পোহালেই মহান স্বাধীনতা দিবস। যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ সেই বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক। এরপরই শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন লাখো জনতা। দিবসটিকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রাঙ্গণজুড়ে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ শেষে রং-তুলির আঁচড়ে সেজেছে পুরো সৌধ এলাকা।
স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহর থেকেই শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত হবে বীর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদী। যাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ।
স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রস্তুতি নিয়েছে সাভার উপজেলা প্রশাসনও। সাজসজ্জার পাশাপাশি স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো এলাকায় থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। আছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ মোতায়েন থাকবে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আচরে ,রঙিন সাজে রাঙানো হয়েছে, পাশাপাশি রং-বেরঙের ফুল দিয়েও সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে মুছে পরিপাটি করার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের সব কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন।
এদিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস নির্বিগ্নে উদযাপন করতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
মন্তব্য করুন