দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন গুনাইঘর সাত গম্বুজ মসজিদ

গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদ। ছবি : কালবেলা
গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদ। ছবি : কালবেলা

গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদ। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে গুনাইঘর গ্রামে এটি অবস্থিত। এই সাত গম্বুজ মসজিদটি তৈরি করতে ৩৫ জন শ্রমিক টানা আড়াই বছর কাজ করেন। ২০০২ সালের ১০ জুলাই কাজ শুরু হয়ে ২০০৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। সে সময় মসজিটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

মসজিদটির ভেতরে, বাইরে ও বারান্দায় রয়েছে বাংলা ও আরবি হরফে লেখা শতাধিক ক্যালিওগ্রাফি। সাত গম্বুজ এই মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে শত শত দর্শনার্থী ছুটে আসেন। চোখজুড়ানো এই মসজিদের ক্যালিগ্রাফি, কারুকাজ ও নকশার সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট ও প্রস্থ ৩৬ ফুট। এর চার কোণায় ৮০ ফুট উচ্চতার ৪টি মিনার রয়েছে। রয়েছে ৭টি গম্বুজ। মসজিদের ভেতরের অংশে এক সঙ্গে শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এ ছাড়া মূল অংশের বাইরে নামাজ আদায় করতে পারেন অসংখ্য মুসল্লি। মসজিদের বাইরে রয়েছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। মসজিদে লেখা ‘আল্লাহু’ শব্দটি রাতের অন্ধকারে তাঁরার মতো জ্বলতে থাকে। যা আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা থেকেও দেখা যায়। মসজিদটির পেছনের রয়েছে দৃষ্টি নন্দিত একটি শিশু পার্ক, ফুলের বাগান ও একটি জলধারা।

মসজিদ নির্মাণে রয়েছে আধুনিক সমৃদ্ধ স্থাপত্যকলার নিদর্শন। মসজিদের ভেতর ও বাইরে আরবি হরফে লেখা রয়েছে আয়তুল কুরছি, সুরা আর রহমান ও চার কুল। মসজিদের কারুকাজ করা হয়েছে ইসলামী স্থাপত্য মোঘল, তুর্কি ও পারস্যের সংমিশ্রণে। মসজিদটি তৈরিতে ৩শ ৫০ মণ চিনামাটির টুকরো ও দুশটি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে।

গুনাইঘর মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী মুহাম্মাদ ইয়াকুব ওসমানী বলেন, মসজিদটি নির্মাণের দিক থেকে বাংলাদেশ অদ্বিতীয়। যার চারপাশে কাঁচের গ্লাসে কারুকাজ করা। সুরা ইয়াসিন, আর রহমান, আয়াতুল কুরসি ও কোরআনের বিভিন্ন ফজিলতপূর্ণ আয়াতগুলো শুধু কাঁচের মাধ্যমে নকশা করা হয়েছে। মসজিদটি দেখতে বহু মানুষ অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসেন। মসজিদটির নয়নাবিরাম দৃশ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত ও ধর্মের দিকে উৎসাহিত করে।

গুনাইঘর মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি। আর স্থপতি ছিলেন শাহীন মালিক এবং কারুকাজ ও নকশা করেছেন স্থাপতি আরিফুর রহমান। দেবিদ্বারের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মিশে আছে মসজিদটি। শেষ বিকালের সূর্যের আলোতে শুভ্র মসজিদটি ঝলমল করে ওঠে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধানের শীষ শুধু নির্বাচনী নয়, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষারও প্রতীক : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

খাঁচা থেকে সিংহ পালানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী

ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আ.লীগ গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু : তারেক রহমান

পরীক্ষক আসবেন শুনে জানালা দিয়ে বই নিক্ষেপ, অতঃপর...

ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক, যে কৌশলে বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন বর-কনে

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গরু সাদকা করলেন কায়কোবাদ 

৫০০ রিকশাচালককে নিয়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী আয়োজন

সবুজের টার্গেট ওমান প্রবাসীদের লাশ

খাঁচায় ফেরানো হলো মিরপুর চিড়িয়াখানার সিংহটিকে

১০

৮ দলের নয়, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই : জামায়াত আমির

১১

তপশিল-নির্বাচন নিয়ে ইসির সতর্কবার্তা

১২

জামায়াত রাজাকার সৃষ্টি করেছে : কাজী আলাউদ্দিন

১৩

ভারত চাইলে নিরবচ্ছিন্ন তেল সরবরাহে প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন

১৪

মোবাইলে ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র দেখবেন যেভাবে

১৫

মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেভাবে খাঁচা থেকে বের হয় সিংহটি

১৬

ডাকাতিকালে মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১৭

ত্রুটিপূর্ণ ভবন নির্মাণে রাজউকের দায় আছে : চেয়ারম্যান

১৮

ফান্ড পেলে বন্ধ চিনিকল চালু করা হবে : শিল্প উপদেষ্টা 

১৯

৮ গোলের ম্যাচে ৭ গোল হজম আর্জেন্টিনার

২০
X