উন্নত জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে ইউরোপে নেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে। মানব পাচারকারী প্রতারকদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে সোনাইমুড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন কামরুল, শাহাদাৎ হোসেনসহ ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্তরা হলেন, আপেল মাহমুদ গাজীপুরের জয়দেবপুর কামারিয়া এলাকার হারুন ওর রশিদের ছেলে। জোবায়ের, বাদল ও জায়েদ।
কামরুল, শাহাদাৎ হোসেনসহ ভুক্তভোগীরা জানান, আমেরিকা প্রবাসী আরিফ হোসেন কাজলের সুবাদে পরিচয় প্রতারক আপেল মাহমুদের সঙ্গে। মানব পাচারকারী প্রতারকরা দীর্ঘদিন থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসহায় গরিব মধ্যবিত্তদেরকে ইউরোপে নিবে বলে নানা কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। যখন আমরা জানতে পারি আপেল মাহমুদ একজন বড় ধরনের প্রতারক ও মানব পাচারকারী তখন আমরা ১০-১২ জন ভুক্তভোগী পাওনা টাকার জন্য আপেল মাহমুদের কাছে গেলে, আমাদের কয়েকজনকে ১টি রুমে আটকে রেখে আরও টাকা আনার জন্য নির্যাতন চালায়। পরে বাইরে অপেক্ষারত কয়েকজন ভুক্তভোগী বিষয়টি টের পেয়ে থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের উদ্ধার করে।
তারা আরও জানান, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার ৩০-৩৫ জন যুবককে ইউরোপের দেশ মেক্সিকোতে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির থেকে ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা হিসাব করলে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় আপেল মাহমুদ, জোবায়ের, বাদল ও জায়েদ নামে মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট হোতারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, চক্রটির বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে নোয়াখালী বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, গাজীপুরের সদর থানা ও সোনাইমুড়ী থানায় মানবপাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রতারকদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
ওসি বকতিয়ার জানান, কোনো মানবপাচারকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না, অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন