জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শরীয়তপুরে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

নামাজ শেষে মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। ছবি : কালবেলা
নামাজ শেষে মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। ছবি : কালবেলা

তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে সারাদেশের জনজীবন। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা কেঁদে কেঁদে বৃষ্টির প্রত্যাশায় দোয়া করেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাজিরা শামসুল উলুম কামিল মাদ্রাসার মাঠে কয়েকশ মুসল্লি বিশেষ নামাজে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ নামাজে মোনাজাত পরিচালনা করেন হজরত মাওলানা আব্দুর রব হাসেমী।

আবুল কাসেম নামে এক মুসল্লি বলেন, আমার বয়স ৬০ বছর। আমার জীবনে আমি এমন গরম দেখিনি। এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আজ বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ পাক যেন বৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশটা শীতল করে দেন।

নামাজে আগত জাহিদ হাসান নামে একজন বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সে জন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সকলে সমবেত হয়েছে।

জাজিরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান বলেন, টানা দাবদাহে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আল্লাহ তায়ালা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি চাইতে বলেছেন। সেজন্যই সবাই একত্রিত হয়ে ইসতিসকার সালাত আদায় করেছি।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা আব্দুর রব হাসেমী বলেন, তীব্র দাবদাহ ও প্রখর রোদে জনজীবন বিপর্যস্ত। এতে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়েছে। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শুধু তাই না তীব্র দাবদাহের কারণে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা বিশেষ নামাজ আদায় করলাম।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরে এক সপ্তাহর বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। তবে আপাতত তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেগম রোকেয়াকে নিয়ে দেওয়া সেই পোস্ট সরিয়ে নিলেন রাবি শিক্ষক, জানালেন কারণ

১৫ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিদ

ছোট্ট সাজিদের উদ্ধার তৎপরতায় ‘ধীরগতি’

শিশু সাজিদের অপেক্ষায় উৎসুক জনতার নির্ঘুম রাত 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শোয়াইব গ্রেপ্তার

তানিয়া রবের গাড়ি বহরে হামলা নব্য ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি : জেএসডি

মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব : লায়ন ফারুক

মহিপুরে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ

৩৫ ফুট গর্তে একাধিকবার পাঠানো হলো ক্যামেরা, দেখা যায়নি শিশুটিকে

তারেক রহমান কবে ফিরবেন জানালেন ইশরাক

১০

জেলা ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলা

১১

যেভাবে গভীর গর্তে পড়েছিল শিশুটি, জানালেন মা

১২

২৬ টন পলিথিন জব্দ, ৩ জনের কারাদণ্ড

১৩

পুরোনো ফোন আমদানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দিল সরকার

১৪

লোকসান পুষিয়ে নিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

১৫

নির্বাচন নিয়ে ন্যূনতম সংশয় সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

১৬

আবার পিছিয়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন

১৭

রাশেদ খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দলের আরেক নেতার

১৮

জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

১৯

এন‌ইআইআর চালু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর, ফোন নিবন্ধন চলবে মার্চ পর্যন্ত

২০
X