নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সমুদ্র সৈকতে ভয়ংকর বিষধর সাপ, আতঙ্ক

বিরল প্রজাতির বিষধর সাপ ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের’।
বিরল প্রজাতির বিষধর সাপ ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের’।

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিরল প্রজাতির বিষধর সাপ ‘ইয়োলো- বেলিড সি স্নেক’র দেখা মিলেছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখতে পান স্থানীয়রা।

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা তানিম ঘুরতে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে এ সাপটি প্রথম দেখতে পান। পরে বিরল প্রজাতির এই সাপ দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন। রাতে এ সাপের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তানিম বলেন, আমি সাপটি দেখে ভয় পেয়েছি। এমন সাপ কখনো দেখিনি। অনেকে ভিড় জমিয়েছিল সাপটি দেখার জন্য। সাপটির পেটের রঙ হলুদ এবং দেহের উপরিভাগ কালো। পরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারলাম এটি বিষধর সাপ।

হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকালই প্রথম হাতিয়ায় ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক দেখা গেছে। আমরা ধারণা করছি এটি জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। এটা বিশ্বের চতুর্থ বিষধর সাপ। আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। আমরা বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাতিয়ার জেলে ও নদী তীরবর্তী মানুষরা আতঙ্কিত। আমরা চাই যেন নিরাপদে পর্যটকরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল বলেন, গোটা বিশ্বের স্থল ও সমুদ্রভাগের সব সাপের মধ্যে ‘ইয়েলো-বেলিড সি’ সাপটি চতুর্থ বিষধর সাপ। সচরাচর এদের দেখা যায় না। গত বছরে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই সাপ দেখা গিয়েছিল। এবার হাতিয়ায় এই সাপের দেখা মিলল। এদের মুখের গঠন এমন যেন তারা মাছ খেতে পারে। তবে এসব সাপ মানুষকে কামড় দেয় না।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত উপকূলের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে এ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এরা বেশিরভাগ সময়েই অগভীর পানিতে থাকতে পছন্দ করে। দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে প্রায়শই এদের দেখা যায়। তাই দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে সকলের সচেতন থাকা উচিত।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, এই প্রজাতির সাপ বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায় না। এর নাম ‘ইয়েলো-বেলিড সি’। এরা হাইড্রোফিদা পরিবারভুক্ত। ভয়ংকর বিষধর এই সাপের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে নেই। তাই সৈকতে এই ধরনের সাপ দেখলে লোকজনের সতর্ক হওয়া উচিত। এই সাপটি দেখলে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং চলে যেতে দিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাংক বন্ধে গ্রাহক তাৎক্ষণিক যত টাকা পাবেন

আমলাতান্ত্রিকতার কারণে শিক্ষকরা অনাহারে জীবন-যাপন করছেন : রিজভী

কখনও এক, কখনও তিন ম্যাচ: এমএলএস প্লে-অফের বিভ্রান্তিকর নিয়মের ব্যাখ্যা

থাইল্যান্ডের ই-ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা

সড়কে লবণ ফেলে, কাফনের কাপড় পরে চাষিদের প্রতিবাদ

হত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁসি

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় মুক্তি পেলেন ৩৫ জন

রান্না শিক্ষার কোর্সে ভিড়, সুযোগ পেতে বসতে হলো পরীক্ষায়

মাইকেয়ার হেলথ হাসপাতালে মিনিমাল ইনভেসিভ সার্জারির অত্যাধুনিক মেশিন উদ্বোধন

১০

আবারও কি ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে মেসি?

১১

নেতানিয়াহুকে থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান এরদোয়ানের

১২

ছবি আসল নাকি এআই দিয়ে তৈরি, মুহূর্তেই জানবেন যেভাবে 

১৩

ট্রাকচাপায় সড়কেই প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের

১৪

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর জামিন নামঞ্জুর

১৫

আইনগত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সুপরিকল্পিত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি

১৬

রাতে ঘুমানোর আগে পানি খাওয়া ভালো নাকি খারাপ? জেনে নিন

১৭

অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ

১৮

যে কারণে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচেন না রণবীর কাপুর

১৯

নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাহিদ, সম্পাদক মুদ্দাচ্ছির

২০
X