নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গুঞ্জন আর উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে চা দোকান- সব জায়গায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে অনেকেই ভেবে নেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আ.ফ.ম বাবুল বাবু। তাই, অনেকেই অগ্রিম জয়ের জন্য ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাকে। তবে তাদের অগ্রিম শুভেচ্ছার আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা সোনাইমুড়ি সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মহি উদ্দিন মনির।
মনোনয়ন সংগ্রহ করে সবাইকে রীতিমতো তাক লাগিয়েছেন ভিপি মনির। যদিও আ.লীগের স্থানীয় থেকে হাইকমান্ড সবাই চাপে রাখতে চান ভিপি মনিরকে। তবে সেক্ষেত্রে নিজের ভোটের বিষয় চুল পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ তিনি। আর এতে তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ ভোটার সবাই ধারণা করছেন সেখানে ভোট হবে সমানে সমান। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদককে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে ভিপি মনিরের কারণে।
ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ মহি উদ্দিন মনির। তিনি সোনাইমুড়ী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। পরবর্তীতে নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের মুসলিম সম্পাদক হন। সোনাইমুড়ি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভিপি নির্বাচিত হন। পরে, ঢাকায় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে রিজভী-মিলন কমিটিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে হাবীব-নবী সহেল ও মীর শরাফত আলী সফু কমিটির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর বাবু-জুয়েল কমিটির কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পরিচিত ও পরীক্ষিত মুখ ভিপি মনির।
নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে বা দল থেকে বাধা না দিলে স্বতন্ত্র পদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারেন বলে আশা মহি উদ্দিন ভিপি মনিরের।
মন্তব্য করুন