সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গভীর রাতে থানায় ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, উচ্চস্বরে গালাগাল ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১০ কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১ মে) গভীর রাতে বেলকুচি থানায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারিক জানান, বুধবার রাতে প্রচারণা চালানোর একপর্যায়ে চালা সাত রাস্তার মোড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার (দোয়াত-কলম) ও বদিউজ্জামান ফকিরের (মোটরসাইকেল) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর অভিযোগ দিতে বদিউজ্জামান ফকির থানায় আসেন।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান এবং গভীর রাতে থানায় অনধিকার প্রবেশ করে থানার পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অন্ততঃ ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। থানার ভিডিও ফুটেজ দেখে অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের ভাই মান্নান ফকির অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চালা সাত রাস্তার মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে তার ভাই বদি ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় ঢুকে তার ভাইকে মারধর করার জন্য চেষ্টা করেন। পুলিশের সহায়তায় তারা থানার অভ্যন্তরে নিরাপদে থাকলেও আমিনুলসহ তার লোকজন থানার ভেতরে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, রাতের বেলায় থানায় ঢুকে অস্থীতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
মন্তব্য করুন