ঝিনাইদহ ব্যুরো
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেখতে রেললাইনের মতো মনে হলেও আসলে এটা মহাসড়ক!

পিচ দেবে গিয়ে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। ছবি : কালবেলা
পিচ দেবে গিয়ে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। ছবি : কালবেলা

প্রথম দেখায় মনে হবে এটা রেলপথ। বাস্তবে কিন্তু এটা রেলপথ নয়, এটা ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের চিত্র। প্রচণ্ড গরমে ও দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ সড়কের বিষয়খালী এলাকা এখন মত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

ছয় লেন সড়কের কাজ শুরু হবে বলে সড়কের পাশের বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড তাপমাত্রায় রাস্তার পিচ সব গলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সড়কের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে প্রশস্ত মহাসড়কের মাঝখানে রেললাইনের মতো চিত্র তৈরি হয়েছে। ফলে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিষয়খালী বটতলা নামক স্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত ১২০০ ফিট রাস্তা ফুলে ওঠে রাস্তার মাঝখানে উঁচু ঢিঁবির সৃষ্টি হয়েছে। যেটি অনেকটাই মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তার এ বেহাল দশা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিষয়খালী গ্রামের সবুজ জানান, সড়কটির এতটাই বেহাল অবস্থা যে, প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। মেঠো সড়কে যেমন গরুর গাড়ি চলতে চলতে পয়ান বা লম্বা গর্ত তৈরি হয়, ঠিক গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের অবস্থাও তেমন হয়েছে।

স্থানীয় মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম জানান, এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো পরিবহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিনই অকেজো হয়ে পড়ছে বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবহন। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।

বিষয়খালী বাজারর চা বিক্রেতা হাসান জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০-২৫টি মোটরসাইকেল এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে। রাস্তাটি মেরামত খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম জানান, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কটি উইকেয়ার সেকশন (ফেজ-১) ছয় লেন প্রকল্পের অধীনে হস্তান্তর করার কারণে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এখন আর করার কিছু নেই। এখন সড়কর সকল সমস্যা প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে বলে তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যোগদান করছেন চট্টগ্রামের নতুন ডিসি সাইফুল ইসলাম

একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, বিদেশে কাজ ও মৃত্যুর পরও পাশাপাশি দাফন

বানার নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে দুই নারীর মৃত্যু

হাসানাত আব্দুল্লাহর নামে মামলা

স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি গোপনে দেখবে ফেসবুক, কীভাবে

নর্থ সাউথের সেই শিক্ষার্থীর দোষ স্বীকার

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে নয়াপল্টনে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেল বাংলাদেশের ২০ শিক্ষার্থী

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা নিয়ে বিএনপির বিবৃতি

রাজধানীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

১০

ঘরে এসেছে নতুন অতিথি

১১

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল জবি ছাত্রদল নেতার

১২

দীর্ঘদিন অনাদায়ী ঋণ অবলোপন, আদায়কর্মী পাবেন প্রণোদনা

১৩

মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই : জামায়াত নেতা শাহজাহান

১৪

যশোরে ব্যতিক্রম আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৫

ঘুম ভাঙলেও প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকেন? অজান্তেই হচ্ছে ভয়াবহ ক্ষতি

১৬

ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান নিয়ে যা বললেন সালাহউদ্দিন

১৭

আগুন নেভাতে ২৬ ঘণ্টা, কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৮

বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিককে মারধর, মোবাইল ভাঙচুর

১৯

কখন চিয়া সিড খেলে সবেচেয়ে বেশি ফল পাওয়া যায়?

২০
X