খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী ফেরি থেকে ঝপঝপিয়া নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও হৃদি রায় (৭) নামের শিশুর সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ মে) সুন্দরবনের করমজল ইকো-ট্যুরিজম ও বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে ফেরি ও পন্টুনের ফাঁক দিয়ে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝপঝপিয়া নদীতে হঠাৎ পড়ে যায় হৃদি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, করমজল থেকে রাতে ট্রলারযোগে পরিবারের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণ করে ফিরছিল শিশুটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে ফেরিঘাটে নেমে সড়ক পথে যাওয়ার জন্য ফেরির ওপর দিয়ে দৌড় দেওয়ার সময় অন্ধকারে বুঝতে না পেরে পন্টুন ও ফেরির ফাঁকা স্থান দিয়ে নদীতে পড়ে যায় হৃদি। শিশুটিকে কেউ পড়ে যেতে না দেখলেও তার দৌড়ে যাওয়া ও পানিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। শিশুটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পানখালী ফেরিঘাট এলাকা।
দাকোপ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল বাসার জানান, তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। তবে রাত দুইটা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। বৈরী আবহাওয়া ও নদীতে খরস্রোত থাকায় ডুবুরিদলের উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটায় গতকাল রাতে তা বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সারা দিন উদ্ধার কাজ চলমান রাখলেও সন্ধ্যায় অন্ধকার নেমে আসায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল থেকে আবারও যথারীতি উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা না যাচ্ছে ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী কালবেলাকে বলেন, নিখোঁজ শিশুর উদ্ধারের জন্য সব প্রকার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল কাজ করছে। খরস্রোতা নদী হওয়ায় শিশুটিকে খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন