চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহাম্মদ মল্লিক (৬৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। অপর ঘটনায় টুনু খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটাচোরা মাঠে ও গোবিন্দহুদা গ্রামের বাড়িতে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত আহাম্মদ মল্লিক উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের মৃত খেদের মল্লিকের ছেলে ও আহত টুনু খাতুন একই উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলনের স্ত্রী।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার পাটাচোরা গ্রামের কুতুব উদ্দীন বলেন, সকালে সাড়ে ৮টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় মাঠে কাজ করছিলেন আহাম্মদ মল্লিক। পরে তিনি মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিলে রাস্তায় বজ্রপাতের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গোবিন্দহুদা গ্রামে বজ্রপাতে আহত গৃহবধূর স্বামী মিলন মিয়া জানান, বজ্রবৃষ্টির সময় বাড়িতে ঘরের দরজায় বসে ছিলেন টুনু। এমন সময় উঠানে বজ্রপাত হলে সে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) ডা. হেলেনা আক্তার নিপা জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজিয়া নওরিনের বরাত দিয়ে বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই বজ্রপাতে আহত আহাম্মদ মল্লিক মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ আশরাফ রবিন জানান, বজ্রপাতে আহত গৃহবধূ টুনু খাতুনকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। তবে তার শরীরে কোথাও পোড়ার চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাতের শব্দে তার কানের সমস্যা হয়েছে।
মন্তব্য করুন