গ্রীষ্মের রুক্ষতা ছাপিয়ে নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। গাছে গাছে ফুলের সমারোহ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন মাথা উঁচু করে লাল রঙের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। কৃষ্ণচূড়া তার রক্তিম আভায় অপরূপ রূপে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে। এমন অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে ওঠে যে কারও ভাবুক মন।
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মালিহা মুসতারিন মুমু বলেন, দিনাজপুর জেলা শহরের এক সময় প্রচুর কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছ ছিল। এখন গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তারপরও জেলা শহরের হাসপাতাল মোড়, সরকারি মহিলা কলেজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পার্শ্বে এবং বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়া শোভা পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে সরেজমিন বিরামপুর উপজেলার পল্লবী রোড, আমবাগান, কলাবাগান, দুর্গাপুর, নবাবগঞ্জ রোডে কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুটেছে। সবুজের বুকে শুধুই লালের রাজত্ব। দূর থেকে মনে হয় ময়ূর তার রাঙা পেখম মেলে ধরেছে প্রকৃতির মাঝে। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে শহরবাসীকে।
চরকাই রেঞ্জের বন কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার কালবেলাকে বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছের সংখ্যা সঠিক অনুমান করা যাচ্ছে না। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া পথিকের মনে প্রশান্তি এনে দেয়। দাবদাহে পথচারীরা অবাক বিষ্ময়ে উপভোগ করেন এ সৌন্দর্য।
পথচারী মালিহা মুসতারিন মুমু বলেন, ‘আমি প্রায় প্রতিদিনই বিরামপুরে পল্লবীর পথ ধরে হাঁটি। গ্রীষ্মের এ নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি।’
সামাজিক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আলম কালবেলাকে বলেন, কৃষ্ণচূড়া পরিবেশবান্ধব এবং বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ। মূলত আফ্রিকার মাদাগাস্কার ফুল গাছ এটি। সম্ভবত ১৮২৪ সালে সেখান থেকে প্রথমে মুরিটাস ও ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিস্তার লাভ করে। কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। গুলমোহর নামে এর পরিচিতি রয়েছে। কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও পরিবেশবান্ধব।
মন্তব্য করুন