‘লাইব্রেরিতে এসে বই পড়লে মিলবে পুরস্কার’- এমন ঘোষণার পর বদলে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরির চিত্র। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা লাইব্রেরিতে এখন পাঠকের দেখা মিলছে। পুরস্কারের ঘোষণায় বই পড়ায় আগ্রহ বেড়েছে পাঠকদের। ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিমাসেই পুরস্কৃত করা হচ্ছে তাদের।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে এপ্রিল মাসে লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত হয়ে বই পড়ায় পুরস্কৃত করা হয়েছে নাসিরনগরের ১২ শিক্ষার্থীকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বালিকা ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া বুশরা, হাফসা বেগম, সুমাইয়া আফরিন, দ্বিতীয় হয়েছেন ইসরাত জাহান ও সৃষ্টি রায় এবং ৩য় হয়েছে সানিয়া আক্তার ও মহিমা রায়। বালক ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য, ২য় স্নেহাল গোপ পান্না, সৌমক রায়, গগনদীপ কুন্ডু, ৩য় হয়েছেন শয়ন গোপ।
জানা যায়, আগে উপজেলার লাইব্রেরিতে আগে তেমন পাঠক ছিল না। জরাজীর্ণ ভবনে নানা রকমের বই থাকলেও পাঠক উপস্থিতি ছিল শূন্যের কোঠায়। পাঠক ফেরাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী অমর একুশে বই মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত ব্যক্তি পাবেন পুরস্কার। সেই ঘোষণায় বেড়েছে নাসিরনগর পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠক উপস্থিতি।
এ উপলক্ষে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মনিরুল হোসাইন, নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, নাসিরনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার দাস, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ সিদ্দিক, গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
এ সময় মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি নেই। এটি নাসিরনগরের সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। আমি উপজেলায় যোগদানের পর লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিদিন পাঠক সংখ্যা খুবই কম। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে যারা সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়বেন, তারা আমার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাবেন। পাশাপাশি লাইব্রেরিটি সংস্কার করা হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী এপ্রিল মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বইয়ের পাঠকদের আমরা পুরস্কৃত করেছি।
মন্তব্য করুন