রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে সুরভী খাতুন নামে এক গৃহবধূকে বালিশচাপায় হত্যা করেছে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান। ঘটনার পর থেকে স্বামী মোস্তাফিজ পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (১৫ মে) রাতে গোদাগাড়ী পৌর সদরের গোদাগাড়ী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সদরের মেডিকেল মোড় এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় সুরভীর। মোস্তাফিজুর রহমান বেকার থাকায় প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। বুধবার (১৫ মে) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগের এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
এ পরীক্ষায় সুরভী খাতুন উত্তীর্ণ হন। এ খবর শুনে স্ত্রী সুরভী খাতুন মায়ের বাড়িতে থাকায় রাতে সেখানে যান মোস্তাফিজুর রহমান। অপরদিকে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান একই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়া হয়। দীর্ঘদিন থেকে কর্মহীন থাকায় মোস্তাফিজুর রহমানের শাশুড়িও মেয়ের জামাইকে বকাঝকা করেন। এরপর রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়েন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুরভির মা তাদের ডাকতে গেলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন মেয়ের নীথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। জামাই মোস্তাফিজুর রহমান ঘরে নেই। তড়িঘড়ি করে সুরভীর মরদেহ গোদাগাড়ীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুরভীকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
গোদাগাড়ী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল রানা কালবেলাকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহত গৃহবধূর গলায় হালকা দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহত গৃহবধূর মা জোছনা আক্তার বাদী হয়ে নিহতের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। তবে আসামি পলাতক থাকায় সে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন