যুবরাজের বয়স এখন সাড়ে তিন বছর। এত অল্প বয়সেই সবার মুখে মুখে নাম তার। বর্তমানে ওজন ৩০ মণ। তিনবেলা খাওয়ানোর পাশাপাশি নিয়ম করে গোসলও করানো হয় তাকে। সুঠাম দেহ ও সৌন্দর্য সবার নজর কাড়ায় বিভিন্ন স্থান অনেকেই আসছে তাকে দেখতে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই দেশের খামারগুলোতে তৈরি করা হয় নানান জাতের গরু। তবে শুধু বাণিজ্যিক খামারই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছোট পরিসরে পারিবারিক খামারেও কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত করা হয় এসব গরু। তেমনি খেয়ে না খেয়ে যুবরাজকে বড় করেছেন নাটোরের নলডাঙ্গার আবু বক্কর সিদ্দিক রতন নামের এক যুবক। তার সঙ্গে তার বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা-ও এই গরুটির পেছনে শ্রম দিয়েছেন।
গরুটির মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক রতন বলেন, তিনি যুবরাজকে সন্তানের মতোই বড় করেছেন। ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটিকে প্রতিদিন ভূসি ও কাঁচা ঘাস বেশি খাওয়ানো হয়। অতিরিক্ত গরমে যাতে যুবরাজ অসুস্থ হয়ে না পড়ে সে জন্য গরুর ঘরের মধ্যে সারাক্ষণ চালানো হয় ফ্যান। যুবরাজকে বিক্রির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকিছেন তিনি। তবে দামাদামি করে কিছু কম হলেও বিক্রি করে দেবেন যুবরাজকে।
নলডাঙ্গা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পবিত্র কুমার বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির সময় বড় গরুগুলো মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। দামও পাওয়া যায় বেশি। তাই পারিবারিকভাবে লালন-পালন করা খামারিদেরও আগ্রহ বড় গরুতে। যুবরাজের মতো আরও কিছু গরু আছে উপজেলায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস তাদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসেছে।
কোররবানির ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশে আলোচনার মূল বিষয় বড় আকারের ষাঁড়। তবে এরইমধ্যে সবার নজর কেড়েছে রতনের যুবরাজ। তাইতো কেউ কেনার আশায় দেখতে আসছেন, আবার কেউবা আসছেন সামনাসামনি দেখার জন্য।
মন্তব্য করুন