মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মিছবা উদ্দিনের ‘সর্দার’ নামে একটি ষাঁড় এবারের কোরবানির ঈদে হাট কাঁপাতে প্রস্তুত। হলিস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু এটি।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই দেশের খামারগুলোতে তৈরি করা হয় নানান জাতের গরু। তবে শুধু বাণিজ্যিক খামারই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছোট পরিসরে পারিবারিক খামারেও কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত করা হয় এসব গরু।
সর্দারের বয়স এখন সাড়ে তিন বছর। এত অল্প বয়সেই ভাইরাল বড়লেখার সর্দার। বর্তমানে লাইভ ওয়েট ৩২ মণ। জবাই করার পর ১৮ থেকে ১৯ মণ মাংস হবে বলে খামার মালিন জানিয়েছেন। দুইবেলা খাবারের পাশাপাশি দুবেলা গোসলও করানো হয় তাকে। সুঠাম দেহ ও সৌন্দর্যে সবার নজর কাড়ায় বিভিন্ন এলাকা অনেকেই সর্দারকে দেখতে আসছেন।
গরুটির মালিক মিসবাহ উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালে ২টি গাভি দিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ২৮টি গরু রয়েছে। তিনি বড়লেখার সর্দারকে সন্তানের মতোই লালন পালন করে বড় করেছেন। গরুটিকে খাবার হিসেবে প্রতিদিন ডাল জাতীয় ভুসি ও কাঁচা ঘাস দেওয়া হয়। অতিরিক্ত গরমে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে সে জন্য গরুর ঘরের মধ্যে সারাক্ষণ চালানো হয় ফ্যান। সর্দারকে বিক্রির জন্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। তবে দামাদামি করে কিছু কম হলেও বিক্রি করে দেবেন ।
বড়লেখা উপজেলা ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহিম মো. ইমতিয়াজ চৌধুরী বলেন, সরকার যেভাবে কৃষি সেক্টরে প্রণোদনা দিয়ে থাকেন তা আমাদের ডেইরি ফার্ম ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে প্রণোদনা দিলে আমরা আরও উপকৃত ও লাভজন হতে পারতাম।
বড়লেখা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও কোরবানির ঈদে ১৫ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈদের সময় বড় গরুগুলো মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। দামও পাওয়া যায় বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস তাদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসেছে। তবে এরইমধ্যে সবার নজর কেড়েছে মিছবা উদ্দিনের গরু ‘সর্দার’।
মন্তব্য করুন