চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নাতি-দাদির প্রাণ নিল ডাকাতদল

চাঁদপুর জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা
চাঁদপুর জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে বসতঘরে ঢুকে কুপিয়ে দাদি ও নাতিকে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৭ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের বকাউল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক নাতনি। ওই বাড়ির তিন পরিবারের পুরুষ সদস্যদের প্রত্যেকেই প্রবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শী ছোট ছেলের স্ত্রী জানান, বোরকা পরে এক যুবক ঘরের দরজা ভেঙে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে হামিদুন্নেছা (৭০) নিহত হয়। আর নাতি আরাফাত হোসেন (১২) হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার ভাই আরাফাত একই বিদয়ালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

বাড়ির চাচাতো ভাই আবদুল গণি বলেন, হত্যার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। একটি মিমকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করেছে পরিবার। অপর গ্রামের কয়েকজন তাদের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে দাবি করা হয়।

ইউপি সদস্য মো. অরুণ জানান, রাতে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর নাতি মারা যান। তার জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পিবিআই ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে ৩টি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সন্তানের পাপের কারণে কি মা-বাবারও শাস্তি হবে?

জুলাই সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জাগপার

এবার এরদোয়ানের পতন ঘটাতে তুরস্কে বিক্ষোভ

প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি

রাজহাঁসের দখলে শহর, তাড়াতে খরচ কোটি কোটি টাকা

জিএসএসসিপি দেখাল সাপ্লাই চেইনের নতুন দিগন্ত

সাকিবকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লিটন

তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ 

হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ

এবার এনসিপি নেত্রীর পদত্যাগ 

১০

টানা বজ্রবৃষ্টির আভাস, ঝরতে পারে যেসব এলাকায়

১১

নদীতে ভাসছিল স্কুলশিক্ষিকার মরদেহ

১২

সংগীতশিল্পী দীপ আর নেই

১৩

খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস খাওয়া কতটা ভালো

১৪

ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশের ভাগ্যে কী ঘটবে

১৫

অভিযোগে কাজ হয়নি, এবার কি এশিয়া কাপ বয়কট করবে পাকিস্তান?

১৬

পদ্মরাগের ৬ বগি লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ

১৭

একাধিক জনবল নিয়োগ দিচ্ছে ফুডপান্ডা, আবেদন করুন আজই

১৮

চার থেকে পাঁচটি ট্রলারে এসে চতুর্দিক থেকে গুলি করা হয় : র‍্যাব

১৯

কারিগর সংকটে প্রতিমা তৈরিতে ধীরগতি

২০
X