বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে ঘোড়া ও মোটরসাইকেল প্রতীকের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৯ মে) সকালে এমন অভিযোগ করেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু সুফিয়ান সফিক ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান রনি।
তাদের অভিযোগ, সকালে শহরের ঠনঠনিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র, ভিটিটিআই কেন্দ্র, ঠনঠনিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রগুলোতে তাদের এজেন্ট ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এজেন্ট ও ভোটাররা বাড়ি ফিরে গেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ঠনঠনিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান সফিক ও সুলতান মাহমুদ খান রনি।
এ সময় আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে আনারস প্রতীকের লোকজনেরা। যারা বের করে দিয়েছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এ ছাড়া তারা আমাদের যুবলীগের ক্যাডার। অনেকে অস্ত্র নিয়েও ঘুরছে। আমরা প্রশাসনকে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান রনি বলেন, ‘প্রতিটা কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছাড়া কাউকে থাকতে দিচ্ছে না। আমাদের এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফলে আমাদের এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে ভয় পাচ্ছে। এ রকম হলে ভোট বর্জন করতে বাধ্য হওয়া ছাড়া পথ নেই।’
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্র কেন্দ্রে কেন্দ্রে উপস্থিত হচ্ছি। যারাই ভোটের পরিবেশ খারাপ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, আনারস প্রতীকের প্রার্থী শুভাশীষ পোদ্দার লিটনের লোকজন অন্য প্রার্থীদের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে লিটনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
মন্তব্য করুন