বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতের সঙ্গে ভিড় বাড়ছে লেপ-তোশকের দোকানে

লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। ছবি : কালবেলা
লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। ছবি : কালবেলা

সন্ধ্যা নামতেই শীতের ছোঁয়া, রাতে ঝরছে শিশির। ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পাতলা কাঁথায় আর শীত মানছে না। হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষায় চাই লেপের উষ্ণতা। শীতের প্রকোপ বাড়ায় বগুড়ায় লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা।

সরেজমিন বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জেলা শহরের রেললাইনের ২ নম্বর রেলগুমটির তুলাপট্টি গিয়ে দেখা যায় প্রায় দোকানেই লেপ-তোশক তৈরি ও বেচাকেনা জমজমাট হয়ে ওঠেছে। শীত মৌসুমে লেপ-তোশক তৈরি করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা জানান, শীতের আগমনে লেপ-তোশক বানানোর ধুম পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্তরা কম্বল কিনতে যাচ্ছেন বড় কাপড়ের দোকানে। তবে তুলা, কাপড়, ফোম ও মজুরি মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে, লেপ-তোশকের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে তুলার। আগে প্রতি কেজি শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। এ ছাড়া কেজিপ্রতি প্রায় ২০ থেকে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে কালো উল, কালো রাবিশসহ সাদা তুলায়। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে লেপ-তোশকের কাপড়েরও।

তুলাপট্টি এলাকার কারিগর হোসেন আলী বলেন, পুরো বছরের চেয়ে শীতে বেচাকেনা বেশি হয়। শীত আসার আগেই লোকজন লেপ বানাতে শুরু করেছে। আমরাও ব্যস্ত। শীত বাড়লে ব্যবসা আরও বাড়বে।

জেলা শহরের রেল গুমটি এলাকার তুলা পট্টিতে লেপ বানান আকবর আলী। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কাজ করেন লেপ-তোশক কারিগর হিসেবে।

আকবর আলী বলেন, কয়দিন আগেও তেমন কাজ ছিল না। তবে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে কাজের চাপ বাড়ছে। এখন রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করেও চাহিদা পূরণ করতে পারছি না।

গাবতলী উপজেলার জয়ভোগা গ্রাম থেকে আসা ধলি বেওয়া বলেন, নতুন লেপ বানানোর সামর্থ্য নেই। পুরোনো লেপ সেলাই করে ব্যবহার উপযোগী করতে এখানে এসেছি।

শহরের কলোনি এলাকার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম বলেন, নতুন লেপের খরচ অনেক। পুরোনো লেপ ধুনিয়ে বাড়তি তুলা দিয়ে নতুন কাপড়ে মুড়িয়ে নিচ্ছি। খরচ অর্ধেকেরও কম।

কারিগররা জানান, শীতে তাদের কাজ সবচেয়ে বেশি। একজন শ্রমিক দৈনিক ৪-৫টি লেপ সেলাই করতে পারেন।

দোকান মালিকরা জানান, মুনাফা ও বিক্রির আশায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন। শীত এগোলে কাজ আরও বাড়বে। আগে বড় লেপ তৈরিতে ১৫০০-১৮০০ টাকা লাগত, এখন ২৫০০-২৬০০ টাকা। এতে লাভ কমে গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএসএফের গুলিতে নিহত ব্যক্তির লাশ এখনো ফেরত পায়নি পরিবার

শীতের সঙ্গে ভিড় বাড়ছে লেপ-তোশকের দোকানে

যুবকের পচাগলা লাশ উদ্ধার

সুখবর পেলেন যুবদল নেতা

পটকা ফুটানো নিয়ে রাতে সংঘর্ষে জড়াল দুই মহল্লার বাসিন্দারা

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ যা জানা গেল

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিনের সর্বশেষ অবস্থা

বিজয়ের মাস উদযাপনে ঢাবি প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ জাতীয় ছাত্রশক্তির

গুজবে কান না দিয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া করুন : ইশরাক

শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মনি গ্রেপ্তার

১০

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদপুরে কর্মসূচি

১১

এখনো ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২

রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, ছাত্রত্ব বাতিল দুই শিক্ষার্থীর

১৩

‘চশমা’ প্রতীকে নির্বাচন করবে আট দলের শরিক জাগপা

১৪

মানুষের অধিকারের প্রশ্নে খালেদা জিয়া সব সময় আপসহীন : মাসুদুজ্জামান

১৫

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির ওমরাহ পালন

১৬

সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না ভারতকে, সমতায় সিরিজ

১৭

মাদকাসক্ত ছেলের আগুনে পুড়ল বসতঘর

১৮

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

১৯

মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

২০
X