ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে পূর্ব বিরোধের জেরে রমজান আলী নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পারাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রমজান আলী ঘাগড়া ইউনিয়নের পারাইল গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিহত রমজান আলী নিজের মাছের খামার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তার চাচা মজিবুর রহমানসহ ১০-১২ জন রমজান আলীকে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহত অবস্থায় রমজানকে একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা মোসলেম উদ্দিনকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে মজিবুর রহমান ও তার লোকজন পালিয়ে যান। রমজান আলী ও তার বাবা মোসলেম উদ্দিনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বুধবার (৫ জুন) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান আলী মারা যান।
নিহতের বড় ভাই মঈন উদ্দিন বলেন, আমার বাবা মোসলেম উদ্দিন ও চাচা মজিবুর রহমান দুই ভাই। দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৬ সালে ভাই রমজান আলী চাচা মজিবুর রহমানের নামে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর মজিবুর রহমান ও তার লোকজন কয়েক মাস করে জেল খাটেন। সম্প্রতি ওই মামলায় রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেন চাচা মজিবুর রহমান ও অন্যান্য আসামিরা। এদিন হাজিরা দিয়ে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন চাচা। মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মামলা চলছিল। সে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিলো এক পক্ষ। এ সব বিরোধেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাছের খাদ্য দিয়ে ফিশারি থেকে ফেরার পথে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে রমজানকে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন