সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০৬:৪৫ এএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ০৭:৩৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদকের তথ্য দেওয়ায় নারীকে হত্যা

নিহত সীমা বেগম। ছবি : কালবেলা
নিহত সীমা বেগম। ছবি : কালবেলা

ঢাকার অদূরে সাভারের খনিজনগর এলাকায় সীমা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণের পর হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাইফুল নামে এক মাদককারবারিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরের পর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মাদককারবারি স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাভার মডেল থানা পুলিশ।

সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর খানের স্ত্রী সীমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সীকাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই বছর ধরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর গ্রামে ভাড়া থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর তিনি একাই খনিজনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

জানা গেছে, গত ১৪ মে ৩০০ পিস ইয়াবাসহ বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ ও মাদককারবারি স্বপনের স্ত্রী পপির মাদককারবারের তথ্য ডিবি পুলিশকে দিলে তাদের আটক করা হয়। ওই ঘটনার জেরে গত ২ জুন সীমা বেগমকে রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় স্বপন, সাইফুল, রেজাউল ও আসিফ। এরপর থেকে আর খোঁজ মিলেনি সীমা বেগমের।

এদিকে ঘটনার রাতেই সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে অপহরণের একটি অভিযোগ করেন সীমা বেগমের বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে যৌথভাবে অভিযানে নামে ডিবি ও সাভার থানা পুলিশ। অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে ডিবি। আটককৃত সাইফুল ইসলাম সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার বাসিন্দা। তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত স্থান থেকে সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার কালবেলাকে বলেন, গত ১৩ মে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাদকসহ স্বপনের সহযোগী ও যুবলীগ নেতা হামিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় স্বপন পালিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, স্বপন লোকজন ঠিক করেছে তাকে মারার জন্য। এর দুদিন পর ২ জুন সন্ধ্যা থেকে আমার মা নিখোঁজ। আজ স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে আমার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বপনসহ যারা আমার মাকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।

তিনি বলেন, ডিবির অভিযানে আমার মা নাকি সহযোগিতা করেছিলেন। ডিবি নাকি আমার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল। আমার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল। স্বপন, রেজাউল ও সাইফুলসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার মাকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবিব খান কালবেলাকে বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নিহত সীমা বেগমের বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার। পরে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে আটক করে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে তাদেরকে দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৭

দুপুরের পর ঢাকায় তীব্র বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

জুবিনকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে, দাবি সহশিল্পীর

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু

৩৫ ছক্কা, ১৪ চারে ১৪১ বলে ৩১৪ রান করা কে এই ব্যাটার

শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

২ জন মিলে জামাত করলে মুক্তাদি কোথায় দাঁড়াবেন? সঠিক নিয়ম জেনে নিন

সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ ৭ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

যে কারণে সঞ্জয়ের সঙ্গে প্রেম বিচ্ছেদ হয় মাধুরীর

১০

নাক মাটিতে না লাগিয়ে শুধু কপালের ওপর সিজদা করলে কি নামাজ হবে?

১১

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আরেক বাসের ধাক্কা, নিহত ১

১২

হঠাৎ মুখোমুখি রণবীর-দীপিকা

১৩

ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ / ব্রাজিলের ছিটকে যাওয়ার দিনে বিশ্বকাপের পরের রাউন্ডে আর্জেন্টিনা

১৪

রাগ করে বাসা থেকে বের হওয়া তরুণের মরদেহ মিলল ধানমন্ডি লেকে

১৫

মানব পাচারকারীদের ঘাঁটিতে বিজিবির হানা

১৬

এইচএসসি পাসেই চাকরি দিচ্ছে আড়ং

১৭

চা বাগান শ্রমিক সর্দার হত্যা, চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ

১৮

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক

১৯

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা দখল / গ্রেটা থুনবার্গ ক্ষুধার্ত, বাকিদের ভাগ্যে যা ঘটেছে

২০
X