কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিলুপ্তির পথে শীতলপাটির মূর্তার চাষ

জমি থেকে তোলা হচ্ছে শীতলপাটির মূর্তা। ছবি : কালবেলা
জমি থেকে তোলা হচ্ছে শীতলপাটির মূর্তা। ছবি : কালবেলা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কমে গেছে শীতলপাটির মূর্তার চাষ। এতে কাঁচামালের অভাবে পাটির কারিগররা পড়েছেন বিপাকে। বেড়েছে দামও।

স্থানীয় ভাষায় এটি ‘মোতা’ নামে পরিচিত। এক সময় পুরো নীলফামারী জেলায় এর চাষ হতো। আবার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এ মোতার চাষ হতো বেশি। বর্তমানে এটি এ উপজেলায়ও বিলুপ্ত প্রায়।

মোতা চাষি বিনোদ চন্দ্র বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলায় এক সময় এই মোতার চাষ ছিল ঘরে ঘরে। মোট কথা বলতে ধরি নেন- যার ঘরত ১০০ শুটা মোতা থাকে তায় মনে করে মোর ঘরত বা মাঁচাত ১০০ মণ ধান আছে।’

এক সময় প্রতিটি বাড়িতে তৈরি হতো এই মোতার শপ। দামও ছিল ভালো। সারাদিনে দুজন মিলে কমপক্ষে ৩টি শপ তৈরি করে বিকেলে হাটে অথবা বাজারে বিক্রি করে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য কেনা যেত সহজেই। বিশেষ করে জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত বৃষ্টির দিনে অন্য কোনো কাজ থাকে না। সে সময় এ এলাকার মানুষের একমাত্র আয়ের রাস্তা শুধু শপ। এটি তৈরি করে সেই আয়ের ওপর চলতে হয় তাদের।

ছিট রাজীব গ্রামের মোতা চাষি ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘নীলফামারী জেলার মেয়ে ছওয়াল যে যে উপজেলাত ছিল সেই সেই উপজেলাত মোতার চাষ হতো। কিশোরগঞ্জ উপজেলার সউগ ইউনিয়নোত ছিল মোতার আবাদ চোখে পড়ার মতন।’

তিনি দুঃখ করে আরও বলেন, মোতার শপের আবাদ করতে খরচ ও পরিশ্রম বেশি হওয়ায় কমে গেছে মোতার চাষাবাদ। মনে করেন একখান তে-হাতা শপ বানাইতে সময় লাগত ৩ ঘণ্টা। সেটা বেচে সংসারের সব খরচেই হতো।

ব্যবসায়ী আ. রউফ বলেন, কিশোরগঞ্জ বাজারসহ আশপাশের বাজারগুলোতে শীতলপাটি মোতার শপের কদর ছিল প্রচুর। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার এসে শীতল পাটি- মোতার শপ কিনে সারা দেশে সরবরাহ করত। এ পাটি ব্যবহার আরামদায়ক। চাষাবাদের অভাবে এ কৃষিপণ্য বিলুপ্তির পথে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষিবিদ লোকমান আলম বলেন, আমরা শীতল পাটি-মোতার শপ চাষিদের প্রশিক্ষণ ও ভর্তুকির মাধ্যমে এ কৃষিপণ্যের চাষাবাদ ধরে রাখার পদক্ষেপ নেব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম আশিক রেজা বলেন, যারা হস্তশিল্প হিসেবে শীতল পাটি- মোতা চাষে আগ্রহী তাদের তালিকা তৈরি করে সহযোগিতা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩০ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

সেভেন রিংস সিমেন্টের ‘জেনে গড়ি, নিজের বাড়ি’ শীর্ষক সম্মেলন

ওসমানী হাসপাতালে ট্যাংকির ঢালাই ভেঙে কর্মী নিহত

জামিন পেলেন বাসদের সেই দুই নেতা

ঢাকা বিভাগেই থাকতে চান শরীয়তপুরবাসী

তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির : সেলিমুজ্জামান

লালমনিরহাটে দুর্গাপূজার উদ্বোধন করলেন হাঙ্গেরি দূতাবাসের কনসাল 

চট্টগ্রামে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে জামায়াত নেতা খুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অচলাবস্থা নিরসনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগ

১০

তারেক রহমান জানেন কীভাবে মানুষের কাছে যেতে হয় : মোস্তফা জামান

১১

স্থানীয় নাগরিক সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১২

কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে পুলিশে দিন : শামা ওবায়েদ

১৩

প্লাস্টিক কারখানাসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

১৪

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যে ২০ দফা প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

১৫

গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প!

১৬

নির্বাচনে কেন ‘বিলম্ব’, জানালেন অধ্যাপক ইউনূস

১৭

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের ঘন ঘন বাংলাদেশে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৮

নেপালের কাছে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১৯

গাজা যুদ্ধ বন্ধে রাজি ইসরায়েল

২০
X