কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউপির কাদবা (নিমুনি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- কাদবা গ্রামের মরহুম আব্দুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ (৩৫), মরহুম মোহাম্মদের ছেলে মোবারক, গান্দাচী গ্রামের পলাশ, বাঙ্গড্ডা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সবুজ। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মোহাম্মদ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, সম্প্রতি যুক্তিখোলা বাজারের গরুর হাট নিয়ে নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর ওই গরুর বাজারটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। বাজারটি বন্ধ হওয়ার পর কাদবা গ্রামের হুমায়ুন কবির বজলু তার মৎস্য ফিসারিতে মাটি দিয়ে ভরাট করে সেখানে সরকারি অনুমতি ছাড়া অস্থায়ীভাবে শুক্রবার পশুর হাট বসান।
উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করলে বাঙ্গড্ডা গ্রামের সবুজ দরপত্র ক্রয় করেন। এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে সবুজকে বাজারটি ইজারা দেওয়া হয়।
ইজারা পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লোকজন নিয়ে পশুর হাটে বাঁশ গাড়তে গেলে বজলু বাধা দেয়। ঘটনা মীমাংসার জন্য শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান পশুর হাটে গিয়ে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদারকে নিয়ে বসেন। এক পর্যায়ে সহকারী কমিশনারের সামনেই উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিষয়টি থানায় জানালে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকি কালবেলাকে বলেন, কাদবা গ্রামের হুমায়ুন কবির বজু সরকারি অনুমতি ছাড়া ওইখানে পশুর হাট বসান। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করলে সবুজ দরপত্রের মাধ্যমে পশুর হাটের ইজারা পান। কিন্তু শুক্রবার দুই পক্ষের সংঘর্ষ হওয়ায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন