সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি রাখা হবে না। স্লুইস গেটের সামনে জমে থাকা পলি অপসারণের মাধ্যমে ১০ হাজার বিঘা জমি আবারও আবাদযোগ্য করে তোলা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন করতে কোনো বাধা এলে তা সমূলে নির্মূল করা হবে। কারও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে হাজারো মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম।
সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের অধিকাংশ খালের উপর অবৈধ বাঁধ ও নেট পাটা দেওয়া পাশাপাশি স্লুইস গেটগুলোর সম্মুখভাগে পলি জমে থাকার কারণে শুধু জলাবদ্ধতায় প্রায় ১০ হাজার বিঘা আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন এই ১০ হাজার বিঘা জমিতে ফসল ফলাতে না পারার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। বহুকাল আগে থেকে সুফলা ভূমি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এই ভূমিতে বিগত কয়েক বছর শস্য ফলাতে না পেরে এলাকার মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে দারিদ্র্যের ছোঁয়া। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সোমবার সকালে দুই ইউনিয়নে হাজার হাজার ভুক্তভোগী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে খালের উপর অবৈধ বাঁধ ও নেট পাটা অপসারণের কাজ শুরু করেন এবিএম মোস্তাকিম।
এ সময় দুই ইউনিয়ন কয়েক হাজার ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চেউটিয়া, বামন ডাঙ্গা, বাইনতলা, মাদিয়া, ফটিকখালী খাজরা দক্ষিণ বড়দল, কালকির গেট সংলগ্ন খালসহ প্রায় ১২ কিলোমিটার খালের ওপরের অবৈধ বাঁধ ও নেট পাঠা অপসারণ করেন।
এবিএম মোস্তাকিম বলেন, আমি নির্বাচনের আগে এই এলাকার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আবাদযোগ্য দশ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে আবারও আবাদযোগ্য করে তুলব। এ লক্ষ্যে আমি কাজ শুরু করেছি। আগামী দিনে যাতে করে আর এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য স্লুইস গেটগুলোর দুইপাশে জমে থাকা পলি নিষ্কাশনের মাধ্যমে দ্রুত সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি করে ফেলে রাখা যাবে না। সে কারণে এই দুই ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে যা কিছু করণীয় তা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি মোল্যা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীউলা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ঢালী মো. শামসুল আলম, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন মোড়ল, আ.লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান চৌধুরী বাবু, ইউপি সদস্য হাসান, সাবেক ইউপি সদস্য মন্টু শাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন