খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ওই কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামরুল হাসান টিপু।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে তার নিজস্ব কার্যালয়ে শেখ কামরুল হাসান টিপু লিখিত বক্তব্য দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯৭টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্বাসের বাড়ির এলাকায় ৫টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে। ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ের মধ্যে ৮টিতে জিতেছেন। বাকি ৩টিতে অস্বাভাবিক ভোট কারচুপি করে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। যাতে সহযোগিতা করেছে নির্বাচনের কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরতরা।
যেসব কেন্দ্রের অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হলো, কপিলমুনি ইউনিয়নের কাসিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাসিম নগরকে আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রেজাকপুর কাশিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেজাকপুর হাওলী প্রতাপকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরাতন ভবন), হাওলী প্রতাপকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নতুন ভবন), কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির (কলেজ ভবন)।
মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামরুল হাসান টিপুর এজেন্টদের কাছে রেজাল্ট শিট দেওয়া হয়নি এবং ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনা হয়। এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে সেটাও তিনি নেননি বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও মাহেরা নাজনীন বলেন, আমার দপ্তর থেকে অভিযোগের রিসিভ কপি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটা সঠিক নয়। ভোট কারচুপির বিষয়টি আমার জানা নেই। রিটার্নিং অফিসার স্যার বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, খুলনা ডে-নাইট কলেজের অধ্যক্ষ সাখেরা বানু, পাইকগাছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকা (অব.) সুরাইয়া আক্তার বানু ডলি ও যুব নেতা অহিদুজ্জামান মোড়ল ও আব্দুল খালেক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন