নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, গত সপ্তাহেও এ মরিচ বিক্রয় হয়েছে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
শনিবার (২২ জুন) উপজেলার পৌরসভা বাজার, চিরাং বাজার, গন্ডা বাজার, রোয়াইলবাড়ি বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষার সময় মরিচের দাম বেড়ে যায়। বৃষ্টি বেশি হলে মরিচে পচন ধরে নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া কাঁচামরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায় কিনতে হয়। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দুয়া পৌরসভার খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে হাইব্রিড কাঁচামরিচ ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ী আবু মিয়া বলেন, কাঁচামরিচ আমদানি না হওয়ায় সরবরাহে চাপ পড়েছে। সেজন্য হাট-বাজারে বেশি দামে মরিচ বিক্রি হচ্ছে।
সাদেক নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে এ কাঁচামরিচের দাম ছিল কেজি ২৬০-২৮০ টাকা। সেই মরিচের দাম এখন দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়। সে জন্য আমরা প্রয়োজনের তাগিদে ১০০ টাকায় ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনেছি।
সোহেল আহমেদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কাঁচামরিচের দাম শুনে বিস্মিত হয়ে গেছি। ঈদের পর আজই বাজারে এসেছি প্রথম। কাঁচামরিচের দাম যে এতটা বেড়ে গেছে এ নিয়ে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। হঠাৎ করেই ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। আমরা ক্রেতারা যেন সবসময়ই বিক্রেতা ও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। তারা যখন যা ইচ্ছা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের কাঁচামরিচ আমরা কেন এত দাম দিয়ে কিনব? এটা রীতিমতো বিস্ময়কর একটি ব্যাপার। কয়েকদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের এত দাম। এটা মেনে নেওয়া যায় না। হঠাৎ করেই এত দাম বেশি, তবুও বাধ্য হয়ে এক পোয়া কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় কিনতে হলো।
মরিচ ব্যবসাীয় মনির হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে মরিচের দাম বাড়ে। তবে সেই তুলনায় এবার বৃষ্টি কম। তারপরও বেড়েছে দাম। গাছে এবার মরিচের ফলনও কম। বৃষ্টির সময় কাঁচামরিচ দ্রুত পচে যায়। গ্রামগঞ্জের আড়তে মরিচের দাম বেশি।
তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। বাজারে সরবরাহ কম, পাইকারি বাজারেই আমাদের বেশি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে। সে কারণে প্রভাব এসে পড়েছে খুচরা বাজারে।
এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, আগামী কিছুদিন বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম এমন বাড়তি থাকবে। আবার যখন তুলনামূলক কম দামে আমরা পাইকারি বাজার থেকে কাঁচামরিচ কিনতে পারব তখন ক্রেতারাও কম দামে কাঁচামরিচ কিনতে পারবে।
মন্তব্য করুন