রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাসেল ভাইপার ভেবে পিটিয়ে মারা হলো দুই অজগর

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জেলের জালের ধরা পড়া দুই অজগর। ছবি : কালবেলা
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জেলের জালের ধরা পড়া দুই অজগর। ছবি : কালবেলা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় রাসেল ভাইপার মনে করে দুটি অজগরকে পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী। রোববার (২৩ জুন) সকালে চকরিয়ার ছাইরাখালী ও বালুরছিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উপকূলীয় এলাকায় রাসেল ভাইপারের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ছাইরাখালী এলাকার বাসিন্দা সাবেক হেডম্যান জহিরের ছেলে খোকনসহ অপর এক জেলে খালে মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে দুটি জালে উঠে আসে। পরে রাসেল ভাইপার মনে করে সাপ দুটিকে মেরে ফেলা হয়।

চকরিয়ার চিরিংগা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলেরা প্রতিদিনের মতো উপকূল এলাকার খালে মাছ ধরতে যান। তারা সকালে জাল ফেললে এক পর্যায়ে সাপগুলো তাদের জালে উঠে আসে। পরে সাপগুলোকে মেরে ফেলা হয়।

এদিকে পিটিয়ে মারা সাপ দুটি রাসেল ভাইপার নয় বরং নিরীহ-নির্বিষ অজগর সাপ বলে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশ অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা।

জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী দুটি হত্যায় দুঃখ করেন জোহরা মিলা। তিনি বলেন, সাপ কৃষকের পরম বন্ধু। প্রাণীটি ইঁদুর খেয়ে কৃষকের যেমন উপকার করে, তেমনই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রাসেল ভাইপারের আতংকে মানুষ গণহারে এভাবে সাপ হত্যা শুরু করলে সেটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।

তিনি আরও বলেন, অজগর নির্বিষ সাপ। এটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়াও করে না। এই প্রজাতিটি গাছে একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইঁদুর, কচ্ছপের ডিম, সাপ, বন মুরগি, পাখি, ছোট বন্যপ্রাণী ইত্যাদি খায়। সাপটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।

জোহরা মিলা বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১০

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১১

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১২

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

১৩

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

১৪

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

১৫

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

১৬

গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ, ভাইয়ের পর চলে গেল বোনও

১৭

ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল নামিবিয়া

১৮

জিয়া পরিবারের ত্যাগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য : কফিল উদ্দিন

১৯

বিএনপিকে ঘায়েল করতে চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

২০
X