বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ভাঙন আতঙ্কে নদীতীরের মানুষ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী। ছবি : কালবেলা
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে রোববার (২৩ জুন) গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। চাষিরা তলিয়ে যাওয়ায় ভয়ে অপরিপক্ব পাট কাটছেন। এদিকে পানি কমায় ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলার যমুনা নদীর পানি গত কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় সারিয়াকান্দি মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ২৩ মিটার। পানির বিপৎসীমা রয়েছে ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। শনিবার (২২ জুন) ছিল ১৫ দশমিক ২২ মিটার। আর রোববার ১৪ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার।

গত কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী এবং বোহাইল ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের ডাকুরিয়া নদীর তলদেশে সদ্য বেড়ে ওঠা অপরিপক্ব পাট কাটছেন চাষিরা। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় গ্রামের এলাকাবাসী ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ইউনিয়নের মানিকদাইড় গ্রামের উত্তর পাশে জামালপুর মাদারগঞ্জ সীমানায় যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এদিকে উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চর ঘাগুয়া গ্রামের যেখানে বাম তীর সংরক্ষণের কাজ হচ্ছে তার উত্তর পাশের বেশকিছু এলাকাজুড়ে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামেও যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নদী ভাঙন রোধে কাজ চলমান। এদিকে বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চরে যমুনা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে কয়েকদিনের যমুনা নদীর ভাঙনে বেশকিছু কৃষিজমি ভেঙে গেছে।

কুতুবপুর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাইরে হওয়ায় প্রতিবছর বন্যার সময় বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরেই পানি বাড়তে থাকায় আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতি.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগামী ২ দিন পর্যন্ত পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর উজানে যদি আরও ভারি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে পানিবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে। উপজেলার যেখানেই নদী ভাঙনের খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। তাই নদী ভাঙনের জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

থমথমে গোপালগঞ্জ

ফিরে দেখা ১৭ জুলাই / গায়েবানা জানাজায় পুলিশের বাধা, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

আজ দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে

বিয়ে করছেন সেলেনা গোমেজ

আলাস্কায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা

স্টোর ইনচার্জ পদে নিয়োগ দিচ্ছে চাকদা স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস

পশুপ্রেম থেকে পরিশুদ্ধ জীবনে মিমি চক্রবর্তী

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস

পাহাড়ের মাটিতে রাম্বুটান, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

‘জুলাই বিপ্লবের এক বছরেও আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের দমন করা যায়নি’

১০

বাড়ি বিক্রি করলেন সালমান খান

১১

আবেদন খারিজ / নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে মামলা বহাল

১২

রাজনীতিতে শিষ্টাচার শুধু বিএনপির মধ্যেই আছে : আমিনুল হক

১৩

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

১৪

সিরিয়ায় হামলা / ইসরায়েলকে থামতে ও শান্ত হতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র

১৫

প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাছের চারা

১৬

মব করে বিএনপি নেতাকে হত্যা করেছে ‘জামায়াত সন্ত্রাসীরা’

১৭

গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়নি : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

১৮

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

১৯

১৭ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২০
X