কুমিল্লায় গোমতী পাড়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে তিতবেগুন ফুল। এ ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য প্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিতবেগুন ফুলের মনজুড়ানো সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন পথচারী, ফুলপ্রেমীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
গোমতী নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, থোকায় থোকায় ফুটে আছে তিতবেগুন ফুল। সাদা পাপড়ির মাঝখানে হলুদ দণ্ডে সুশোভিত তিতবেগুন ফুল যেন আসা-যাওয়ার পথে পথিকদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। বাতাসে দোদুল্যমান এসব ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ। শিশুদেরকেও এ ফুল নিয়ে খেলা করতে দেখা গেছে। ফুলপ্রেমীদের মনের খোরাক হয়ে উঠেছে মনমাতানো সৌন্দর্যের এ তিতবেগুন ফুল।
জানা গেছে, প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের নানা অসুখ-বিসুখে ভেষজ গাছ, উদ্ভিদ ও লতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ভেষজগুণসমৃদ্ধ উদ্ভিদ তিতবেগুন। তিতবেগুন বা কাকমাচি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। ভেষজ এ উদ্ভিদটি মানবদেহের নানারোগ নিরাময়ে আদিকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর ফুলও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, তিতবেগুন বা কাকমাচি মানবদেহের নানা রোগের উপশম দিতে সক্ষম। তিতবেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণ। এ বেগুন কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়। শুধু এর ফল নয়, এ গাছের সবুজ পাতা, ফল, বীজ ও শিকড় এবং ছাল সবকিছুতে রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ।
এটির পাতা ও গাছ কাঁটাযুক্ত। এর পাতা হালকা সবুজ সবুজ রংয়ের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ১ থেকে ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর ফুল হালকা বেগুনি, হালকা হলুদ ও সাদা বর্ণের হয়। এ উদ্ভিদটির ফল প্রথমে সবুজ ও পরে কমলা বর্ণের, লাল ও কালো বর্ণেরও হয়ে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, গোমতী নদীর পাড়ে ফুটে থাকা তিতবেগুন ফুল দেখতে বেশ সুন্দর। চলতিপথে অনেকেই এ ফুলের সৌন্দর্যে থমকে দাঁড়ায়। মুরব্বিদের কাছ থেকে শুনেছি এ ফুল ও এর ফল, পাতা ও শিকড় মানুষের অসুখ-বিসুখে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক ডা. সোহেল রানা কালবেলাকে বলেন, তিতবেগুন একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদটির কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। এটি ছোট ছোট কাঁটাযুক্ত এক প্রকার উদ্ভিদ। এ বেগুনের ফুল দেখতে বেশ সুন্দর হয়। ফুলের সৌন্দর্যে যে কারো নজর কাড়বে।
তিনি বলেন, এ বেগুনের মধ্যে বিদ্যমান উপকারী উপাদান মানবদেহের নানা রোগ নিরাময়ে কাজ করে। আদিকাল থেকেই ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এ বেগুন ও গাছটি।
মন্তব্য করুন