লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি :
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর ভাঙনে দিশাহারা কয়েকশ পরিবার

নদীগর্ভে বিলীন ভাঙনের একাংশ। ছবি : কালবেলা
নদীগর্ভে বিলীন ভাঙনের একাংশ। ছবি : কালবেলা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে মধুমতী নদীর ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে আবাদি জমি, ভিটেমাটিসহ সহায় সম্পদ। এমনকি ভাঙনে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের খুঁটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এসব এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়ত আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।

শনিবার (২৯ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় ভাঙনের এই ভয়াবহ চিত্র।

স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতী নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ইউনিয়নের শিয়রবর গ্রামের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও আবারও ভাঙনে ভেসে যাচ্ছে সেগুলো। যার ফলে ভাঙনের মুখে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তাই ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী।

ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া জানান, তাদের ৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৩ বার ভাঙনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবারও ভাঙনের দাঁড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে। কী করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। তিনি এ ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।

এব্যাপারে স্থানীয় অধিবাসী তোতা মিয়া, সাদ্দাম, আলাউদ্দিন, বালাম, চুন্নুমিয়া, হুমায়ুন কবির, আরফিন মোল্যা, ওসমান মুন্সী জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে আমাদের বাড়ি-ঘর বারবার ভেঙে গেছে নদীগর্ভে। নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়ে গেছেন আমরা। ভাঙতে ভাঙতে নদীর কিনারে চলে এসেছে তাদের বসতভিটা। যেভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে তাতে করে বসতভিটা কখন যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবার বসতবাড়ি ভাঙলে মাথা গোঁজার ঠাই থাকবে না আমাদের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশিকুল আলম জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মাদ্রাসা, মসজিদ ভাঙনের শিকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীগর্ভে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তিনি মধুমতী নদীর ভাঙন রোধে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষেয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙনরোধে আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই, এ কারণে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছি না। তবে বরাদ্দ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হবে’।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নীরবে শরীরে ছড়াচ্ছে ক্যানসার, সকালে এই একটি লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হোন

এনআইডি পেয়ে সেই জসিম বললেন, ‘অবিস্মরণীয় মুহূর্ত’

শাহরুখ খানকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিলেন পরিচালক

স্বামীসহ ২ ডজন মামলার আসামি শিপরা গ্রেপ্তার

জানা গেল শহিদুল আলমের সবশেষ অবস্থা

ফিলিপাইনে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

জুমার দিন যে সময়ে দোয়া করলে আল্লাহ মনের চাহিদা পূরণ করেন

শেরপুরে স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন, ক্ষোভে ফুঁসছেন তরুণরা 

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

ভিক্ষুকের ঘরে ২ বস্তা টাকা, গুনতে লাগল ৫ ঘণ্টা 

১০

১০ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১১

গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে 

১২

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৩

গাজা চুক্তিকে ইরান হামলার সঙ্গে যুক্ত করলেন ট্রাম্প

১৪

১০ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

নোয়াখালী বিভাগ চেয়ে ইতালিতে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

১৬

কাবুলে বিস্ফোরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

১৭

‘ওলামা-মাশায়েখদের ত্যাগ-কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

১৮

যুদ্ধবিরতিতে গাজার ঘরে ঘরে আনন্দ, রাস্তায় মিছিল

১৯

সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব : চসিক মেয়র

২০
X