রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন দাবি করেছেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের নগ্ন ভিডিও করে রেখে দিতেন হত্যা মামলার আসামি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ দাবি করেন আইনজীবী নয়ন।
শুনানির পর আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী নয়ন বলেন, একজন ইউটিউবার মিডিয়া সন্ত্রাস তৌহিদ আফ্রিদি। এই মিডিয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবচাইতে বড় যে এলিগেশন, সে মিডিয়ার মাধ্যমে তার ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ সকলকে উৎসাহী করেছিল। এই হত্যায় সে সরাসরি যুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে দীর্ঘদিন পুলিশ খুঁজছিল। রোববার (২৪ আগস্ট) বরিশালে তাকে পেয়েছে সিআইডি। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রদের জিম্মি করে নগ্ন ভিডিও করে রেখে দিতেন।
এর আগে, রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে তৌহিদ আফ্রিদিকে সিআইডির একটি দল বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলার আসামি।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সিআইডি তাকে আদালতে উপস্থাপন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান। এ সময় তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন তিনি। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পর দিন এ মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মন্তব্য করুন