কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি 

হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত
হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে শুনানি আগামী ২১ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির বেঞ্চ রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে এই সিদ্ধান্ত দেন।

আজকের রিভিউ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার জন্য কার্যকর সমাধান চায়, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে রিভিউ শুনানি এদিন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। ওইদিন শুনানির শুরুতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে যেসব বিচারপতি রায় দেন, তারা পরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। পরে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পরে বিশেষ বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় ঘোষণা করা হয়। সেই রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের এই সংশোধনী সংবিধানসম্মত। পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করার অনুমতিও দেওয়া হয়।

২০০৮ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাকসু নির্বাচনে দ্রোহ পর্ষদ প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা

ঢাবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে আশিক-রাফি

গাজা শহরকে নতুন করে নির্মাণ করতে কতদিন সময় লাগবে?

ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩

চবির ভর্তি পরীক্ষা ২ জানুয়ারি

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ২ নেতা গ্রেপ্তার

নতুন বউ নিয়ে ঘরে প্রবেশের পরই ডাকাতের হানা, স্বর্ণালংকার লুট

৩ দাবিতে কাল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি

ইব্রাহিমোভিচকে ছাড়িয়ে এমএলএসে মেসির নতুন ইতিহাস

মৎস্য কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা, ২৭ জেলে আটক

১০

ফেসবুকে নতুন চমক, আসছে ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার

১১

শেখ হাসিনার বিচারকাজ সম্প্রচারের সময় ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা

১২

জুলাই নিয়ে কাজ করতে গেলেই বাজেট নিয়ে একটা মহল প্রশ্ন তোলে : আসিফ মাহমুদ

১৩

বাসের ধাক্কায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

১৪

গুরুত্বপূর্ণ দুই সীমান্ত বন্ধ করে দিল পাকিস্তান

১৫

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ’র খসড়ার মতামত গ্রহণ সম্পন্ন

১৬

মুন্সীগঞ্জে হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন

১৭

অনুমতি ছাড়া সংবাদ সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞার সংশোধন করল খুলনা মেডিকেল

১৮

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

১৯

হঠাৎ কেন দাম কমলো ক্রিপ্টোকারেন্সির?

২০
X