সিগন্যালে পড়ায় রেগে গিয়ে কনস্টেবলকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তারের পরদিনই জামিন পেয়েছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদ শুনানি নিয়ে তার জামিনের আদেশ দেন।
এদিন ডা. আনোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই মো. গোলজার হোসেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী শেখ আব্দুল বারী জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আসামি একজন বিসিএস কর্মকর্তা। বয়সের কারণে রাগের বশবর্তী হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জামিন পেলে পলাতক হবেন না। ভুক্তভোগীর আঘাত বেশি গুরুতর নয়। সেজন্য তার জামিন প্রার্থনা করছি।’
শুনানি শেষে ৫০০ টাকা মুচলেকায় ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিনের আদেশ দেন বলে জানান প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মারুফুজ্জামান।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও রেলগেটের দক্ষিণ সিগন্যালে পড়ে যান ডা. আনোয়ার হোসেন। দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য রবিউল হাসানকে গালমন্দ করেন এবং হুমকি দিয়ে আবার আসতেছি বলে চলে যায়। ১৫ মিনিট পর ১০-১২ জন ৬/৭টি মোটরসাইকেল করে রবিউলের কাছে এসে তার গোপনাঙ্গে লাথি মারে। পরবর্তীতে আনোয়ারসহ অন্যরা তাকে মাটিতে ফেলে ঘাড়, বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে জখম করে। বিট অফিসার এএসআই রবিউল ইসলাম এগিয়ে এলে তাকে স্ব-জোরে ধাক্কা দেয় এবং তার পোশাকের র্যাংক বেইজ ধরে টান দেয়। পরে আশপাশের পুলিশ সদস্যরা এসে ডা. আনোয়ারকে আটক করে। আর বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, মারধর করে জখম করার অভিযোগে সবুজবাগ ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল রবিউল হাসান মামলা করেন। পরে চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে অপরাধ গুরুতর না হওয়ায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার উপাদান না পাওয়ায় আদালত আনোয়ার হোসেনকে জামিন দেয় বলে জানান মারুফুজ্জামান।
মন্তব্য করুন