রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) স্বতন্ত্র ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের ফের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।
আসামি জালালের পক্ষে তার আইনজীবী রফিকুল ইসলাম (হিমেল) জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষেী প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করেন।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, জালাল ফ্যাসিস্টের লোক। সেসময় শেখ হাসিনাই তাদের তৈরি করেছে। তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে। সে ডাকসু নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন দেখবে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে জালাল কক্ষে প্রবেশ করে উচ্চ শব্দে চেয়ার টানাহেঁচড়া করতে থাকেন এবং লাইট জ্বালিয়ে রবিউলের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটান। রবিউল সকালে লাইব্রেরিতে যাওয়ার কথা বলে জালালকে আস্তে শব্দ করতে অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে জালাল রবিউলকে প্রথমে কাঠের চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন। রবিউল হাত দিয়ে তা প্রতিহত করলেও কপালে জখম হয়। এরপর জালাল কক্ষের একটি পুরোনো টিউবলাইট দিয়ে পুনরায় রবিউলের মাথায় আঘাত করতে গেলে তা বুকের বাম পাশে লেগে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে সেই ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে জালাল আবারও আঘাত করতে গেলে রবিউল বাম হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন এবং জখম হন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা আহত রবিউলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে।
রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই রাতেই জালালকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করা হয়। পরদিন জামিন আবেদনের আবেদন নামঞ্জুর করে জালালকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপরে জালালের জামিন আবেদন করেও প্রত্যাহার করে নেন আইনজীবী। গত ২ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদন করেও আইনজীবী শুনানিতে যাননি। শুনানি না করায় আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
মন্তব্য করুন