খুলনায় স্টুডেন্ট স্কয়ার ফাউন্ডেশন উদ্যোগে ‘ওয়ান মিনিট ইনভেস্টমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় খুলনা পাবলিক কলেজে একটি গ্রুপ কাউন্সেলিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজিত এ সেশনের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ সামিউল সিয়াম।
স্টুডেন্ট স্কয়ার ফাউন্ডেশন তরুণ নেতৃত্বাধীন একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক সংগঠন, যা শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের একাডেমিক ও ক্যারিয়ার বিষয়ক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে।
স্টুডেন্ট স্কয়ার ফাউন্ডেশনের ‘ওয়ান মিনিট ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প’ এর আওতায় খুলনা, রাজশাহী, ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্কুলে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।
স্টুডেন্ট স্কয়ারের আয়োজকরা জানান, নিয়মিত এ ধরনের সেশন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করবে। তারা বিশ্বাস করেন, সচেতন নতুন প্রজন্মই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
সেশনটির মূল উদ্দেশ্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্যারিয়ার, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য, নেতৃত্বগুন পরিবেশ সচেতনতা এবং বর্তমান বিশ্বে চলমান বিষয়গুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সেশনের কো-অর্ডিনেটর শেখ সামিউল সিয়াম বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য সমাজের মধ্য থেকে সমাজের পরিবর্তন করা এবং প্রত্যেকটি বিচ্ছিন্ন অংশকে একত্রিত করে প্রকৃত উন্নয়নের জন্য কাজ করা। আমরা বিশ্বাস করি, সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদান করে তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে, যাতে তারা নিজেদের উন্নতির পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটি কেবল একাডেমিক উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক, পরিবেশগত এবং মানসিক সুস্থতাও নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।’
খুলনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে প্রভাব ফেলবে। আগামী প্রজন্মকে মহৎ উদ্দেশ্যে অনুপ্রাণিত করা, রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এ ধরনের ধারাবাহিক কর্মসূচির বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্টুডেন্ট স্কয়ার ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করবে এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।’
সেশনের শেষভাগে কুইজ প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয় এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘটে।
মন্তব্য করুন