বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকান্ডের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের অনুমতি নিয়ে রিমান্ড শুনানিতে তিনি বলেন, আমি মিয়ান আরেফিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসিনি। সে টাকা খরচ করে বাংলাদেশে এসেছেন। আমি রাজনীতি করি না, কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না।
তিনি বলেন, বিএনপির অফিসে একটা চেয়ার দিয়ে আমাকে বসানো হয়। আমি বসেছি কিন্তু কোনো বক্তব্য দেয়নি। মিয়ান আরেফি সমবেদনা জানিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করে তিনি বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে স্যাংশনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। আমি নিজে তার প্রতিবাদ করি। আরেফি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বলে সে আমার সাথে জগিং করে। অথচ সে ল্যাংড়া, লাঠি ছাড়া হাটতে পারেনা।
তিনি আরও বলেন, আমি যুদ্ধাহত সৈনিক, যেকারণে রাষ্ট্র আমাকে বীরবিক্রম উপাধি দিয়েছেন। আমার চাকরির জীবনে দেশের জনগণ ও সার্বভৌম রক্ষার জন্য ত্যাগ শিকার করেছি। এদেশের জনগণের দেওয়া অর্থে আমাদের সংসার চলেছে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আমার রক্তমাংসের সঙ্গে মিশে আছে।
এদিন আসামি হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মীর। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় মিয়ান আরেফিসহ অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩০ অক্টোবর মিয়ান আরেফিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরপর গত মঙ্গলবার সাভার থেকে হাসান সারওয়ার্দী গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
মন্তব্য করুন