বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ নিয়ে করা রিটের রায় আগামী ১০ মার্চ ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
রোববার (৩ মার্চ) এ সংক্রান্ত রুল শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এদিন আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ (এম) সাঈদ আহমেদ, রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আফিফা বেগম।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে বলে হাইকোর্টে দুদকের পক্ষ থেকে দাখিল করা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়িসংক্রান্ত যাবতীয় নথি চান। সে সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বাড়িটি নিয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় রয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। বাড়িটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল দুদক।
গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, আবদুস সালাম মুর্শেদী সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার। রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)।
মন্তব্য করুন