কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০৩:১২ পিএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩, ০৪:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ আটজনের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) হুমায়ুন কবিরসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেন্স সহকারী সোহানুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলো ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এদের মধ্যে হুমায়ন কবির, ননী গোপাল, সাইফুল হাসান, সাইফুল ইসলাম রাজা ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। এ ছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি সফিজ উদ্দিন, কামরুল হোসেন ও মাইনুল হককে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। এ ছাড়া প্রতারণার দায়ে তাদের আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আসামি ডিজিএম আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত আট আসামির সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত। সেক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানা গেছে।

এদিন দণ্ডিত তিন আসামি মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

দুই কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১০৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এরামুল হক চৌধুরী রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাইকে ঘোষণা করে যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে দিচ্ছেন সাংবাদিকরা

সময়ের সঙ্গে চলচ্চিত্রে নারীদের অবস্থান বদলেছে: চিত্রাঙ্গদা সিং

বালু উত্তোলন করে নির্মাণাধীন সেতুতে ব্যবহার, প্রকৌশলীর কারাদণ্ড

নওগাঁর সাবেক এমপি ফারুক ঢাকায় গ্রেপ্তার

১৩ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল যে জেলায়   

‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রাতে মাঠে নামছেন হামজা-জামালরা

হানিয়ার পর বাংলাদেশে আসছেন আহাদ রাজা মীর

সমুদ্রসৈকতে তিন দিন পড়ে ছিল বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন

কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেল ১২ দপ্তরে

১০

অভিনয় এখন আত্মপ্রদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে: সজীব

১১

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

১২

মালিবাগে শপিং মল থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরি

১৩

মারা গেলেন ৫০৯ ম্যাচ জেতা ফুটবলার

১৪

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির / ৭২ বছর বয়সে সেফ এক্সিটের কথা ভাবা দুঃখজনক

১৫

এবার বিশ্ববাজারে রুপার দামও নতুন উচ্চতায়

১৬

বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল আরও ১ দেশ

১৭

কটাক্ষের শিকার দীপিকা

১৮

পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ কী, যেসব খাবার শুক্রাণু বাড়ায়

১৯

ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করল স্পেন

২০
X