‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) হংকং-চায়নার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। রাত ৮টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই মর্যাদার ম্যাচ, যেখানে তিন পয়েন্টই হতে পারে আশা ও হতাশার সীমারেখা।
ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের ক্ষত এখনো তাজা। তবে তার আগে ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র জুগিয়েছিল আত্মবিশ্বাসের আলো। বিদেশে খেলা মানসম্পন্ন ফুটবলার হামজা চৌধুরী, শমিত সোম ও ফাহামেদুল ইসলামের যোগে দলটা হয়েছিল আরও ভারসাম্যপূর্ণ; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।
হংকং-চায়নার সঙ্গে বাংলাদেশের অতীত পারফরম্যান্স স্বস্তির নয়। দুদলের চার দেখায় একবারও হাসতে পারেনি লাল-সবুজের দলটি। দুটিতে পরাজয়ের সঙ্গে সমানসংখ্যক ম্যাচে ড্র করেছে। হংকং-চায়নার বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছিল ১৯ বছর আগে। ২০০৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত এএফসি কাপের সেই ম্যাচটি অবশ্য গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। বর্তমান র্যাংকিংয়ের বিবেচনায়ও বাংলাদেশের চেয়ে স্পষ্টভাবে এগিয়ে সফরকারীরা। তাদের ফিফা র্যাংকিং ১৪৬, যেখানে বাংলাদেশের ১৮৪।
এই ম্যাচ সামনে রেখে গত দশ দিন ধরে কঠোর অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানান, খেলোয়াড়রা খুব মনোযোগী এবং জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, আমাদের সক্ষমতা আছে, ইতিহাস গড়তে পারি। স্কোয়াডের গুণগত মান নিয়ে আমি সবসময়ই সন্তুষ্ট। তবে সাম্প্রতিক কিছু নতুন সংযোজন, বিশেষ করে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।’
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় নাম হামজা চৌধুরী। তবে তাকে নিয়ে চিন্তা না করার কথাই জানালেন হংকং-চায়নার কোচ ওয়েস্টউড। তিনি বলেন, ‘হামজাকে নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা তার সামর্থ্য জানি। কিন্তু একটা দল একজন খেলোয়াড় দিয়ে হয় না। আমাদেরও ভালো খেলোয়াড় আছে, তবে আমরা দলীয় চেতনায় বিশ্বাস করি। সবার অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের সব খেলোয়াড়, এমনকি বদলি খেলোয়াড়দেরও কাজে লাগাব।’
মন্তব্য করুন