আবু ধাবির গরমে যেন আরও তপ্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশের ভাগ্য। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরাজ-হৃদয়ের লড়াকু ফিফটির পরও জয় ধরা দিল না। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট-বলে ঝলকে উড়ে গেল টাইগাররা। ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৪৪ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন এই অলরাউন্ডার। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ৫ উইকেটে জিতলো আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের ২২১ রানের মাঝারি স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুটা সতর্ক ছিল আফগানদের। একপ্রান্তে গুরবাজ আর অন্যপ্রান্তে রহমত শাহ মিলে গড়ে তোলেন ৭৮ রানের দৃঢ় জুটি। তানজিম হাসান সাকিবের ধারালো স্পেলে কিছুটা আশার আলো দেখা দিলেও সেটি ছিল ক্ষণস্থায়ী। রহমত শাহ (৫০) ও গুরবাজ (৫০) ফেরার পরও আফগান ইনিংস ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ।
তখনই ব্যাট হাতে নামেন ওমরজাই। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাবে খেলে চাপে ফেলে দেন বোলারদের। তার দ্রুত ৪০ রানের ইনিংসে আফগানিস্তান সহজেই নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যাচে। পরে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি অপরাজিত থেকে ১৭ বল হাতে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে একমাত্র কার্যকর ছিলেন তানজিম আল সাকিব। ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট নেন এই পেসার । একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম।
এর আগে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ইনিংসেও ছিল একই রকম হতাশা। ওপেনাররা শুরুটা ভালো করতে না পারলেও মাঝের সারিতে লড়াকু ভূমিকা রাখেন মিরাজ ও হৃদয়। মিরাজ ৮৭ বলে করেন ৬০, হৃদয় ৮৫ বলে ৫৬। তবে তাদের ফিফটি সত্ত্বেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। অভিষেকে সাইফ হাসান ২৬ রান করে কিছুটা আস্থা জুগিয়েছেন, কিন্তু বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ।
ওমরজাইয়ের মতোই কার্যকর ছিলেন রশিদ খান। তিনি ৩৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন গুটিয়ে দেন। তার সঙ্গে আল্লাহ গজনফর নেন ২ উইকেট।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের সামনে এখন সিরিজে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ—কিন্তু তার আগে হয়তো দরকার কিছুটা আত্মসমালোচনা, বিশেষ করে ব্যাটিং ও মিডল অর্ডারের অচলাবস্থা নিয়ে।
মন্তব্য করুন