কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিচয়ে হারবালের রমরমা বাণিজ্য

ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি : সংগৃহীত
ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি : সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের পরিচয়ে হেয়ার টনিকসহ রূপচর্চার নানা হারবাল পণ্যের বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে।

জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল খুলে চালানো হয় বিজ্ঞাপন। মন্ত্রীর নাম দেখার কারণে মানুষ বিশ্বাস করে এসব পণ্য অর্ডার করেন।

সম্প্রতি চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে হারবালসামগ্রী বিক্রির রমরমা বাণিজ্যে জড়িত এক ভিয়েতনামী নাগরিকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– ভিয়েতনামী নাগরিক ট্রান-আনহ-থো ওরফে মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন ওরফে ইয়ামিন।

গত শুক্রবার (২৪ মে) রাতে গুলশান এলাকায় ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) একটি অভিযানে পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ ও প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন চাইনিজ ও ভিয়েতনামী পণ্য জব্দ করা হয়।

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

হারুন বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। একপর্যায়ে আমরা দেখতে পাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি ব্যবহার করে হেয়ার টনিক ও চুলের ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

এর সূত্র ধরেই ডিবি গুলশানে অভিজাত এলাকায় একটি ‘ইউনিক শিপিং এজেন্সি’ নামে কোম্পানির সন্ধান পায়। যারা শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রী নয় দেশের বিভিন্ন সেলিব্রেটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম-ছবি ব্যবহার করে ভিয়েতনাম ও চীন থেকে আমদানি করা নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে আসছিল।

ডিবি প্রধান বলেন, মিস্টার টনি ও নুরুল আমিন প্রতারণা চক্রের মূল এজেন্ট। ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বিজ্ঞাপন দেয়। এই অ্যাকাউন্টগুলো ভিয়েতনাম থেকে মিস্টার ডং নামে একজন পরিচালনা করেন। আর সেই চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে দেশের সাধারণ মানুষ অর্ডার করেন। এরপর ভিয়েতনামে থাকা এ চক্রের মার্কেটিং গ্রুপ থেকে ‘ইউনিক শিপিং এজেন্সি’ নামের কোম্পানিতে বাংলাদেশি কর্মরত ব্যক্তিদের কাছে তথ্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বর থেকে গ্রাহককে ফোন করে অর্ডার কনফার্ম করে কুরিয়ারে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়।

এসব নিম্নমানের পণ্য ভিয়েতনাম-চীন থেকে আনা হলেও সেসব পণ্য বাংলাদেশে বিপণনের কোনো বৈধতা নেই।

এ সময় সাধারণ মানুষকে এসব বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কিনতে সতর্ক থাকতে বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিকাশ-নগদ-রকেটে লেনদেনের নতুন মাধ্যম, চার্জ কত? 

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, বেরোবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার 

সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়ি এখন কিন্ডারগার্টেন স্কুল

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় ক্রিকেটার নিহত

সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

অভিনয়ের বাইরে অন্য এক কৃতি

একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম, জিততে পারল না বাংলাদেশ

শিশুর কাশি হলে সঙ্গে সঙ্গে কফ সিরাপ নয়

অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি

৬ দফায় যত বাড়ল স্বর্ণের দাম

১০

ইলেকট্রনিকস ও কমার্শিয়াল বিভাগে চাকরি দিচ্ছে দারাজ

১১

অ্যাটলির সিনেমায় যশ

১২

বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে যা জানাল বিসিবি

১৩

নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে আইওএম’র চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

১৪

আকিজ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১৫

রাকসু নির্বাচন / শিবির প্যানেলের ৫ বস্তা খাবার ফেরত পাঠাল নির্বাচন কমিশন

১৬

ফ্রিজে রাখা খাবার থেকে কি ইউরিন ইনফেকশন হয়, যা জানালেন চিকিৎসক

১৭

দীপিকার পাশে কঙ্কনা

১৮

কতজন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেলেন, জানাল ইসরায়েল

১৯

চাঁদা না দেওয়ায় ২৯ দিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ

২০
X