মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী মাছের রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন প্রদানে ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স অনুষদের নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটদের আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা।
আজ সোমবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র সমিতির আয়োজনে একটি মানববন্ধন করা হয়। এতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি সেখানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিনসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকমণ্ডলীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওই মানববন্ধনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সব ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ নতুন এই নীতিমালার তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা অতিদ্রুত এই নীতিমালার সংশোধন করে মাছের রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন তৈরিতে ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের পরিবর্তে মাৎস্যবিজ্ঞান গ্রাজুয়েটদের স্থলাভিষিক্ত করার পাশাপাশি ফিশারিজ কাউন্সিল তৈরির জোর দাবি জানান।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বলেন, ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব এনিমেল হেলথ কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রয়েছে যে, জলজপ্রাণিদের ভেটেরেনারি নিবন্ধিত গ্রাজুয়েট এবং একুয়াটিক এনিমেল হেলথ প্রফেশনাল উভয়ই রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন প্রদান করতে পারবেন। অথচ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী তারা একুয়াটিক এনিমেল হেলথ প্রফেশনালদের বাদ দিয়ে শুধু ভেটেরেনারি গ্রাজুয়েটদের মাছের চিকিৎসা করার ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সব শিক্ষক আমাদের শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করছি।
মন্তব্য করুন