কোনোটির ভেতর পড়ে আছে খালি কোকের বোতল, কোনোটির ভেতর ডাস্টবিনের মতো ফেলা হয়েছে খাবারের খালি প্যাকেট বা কোকের বোতল। আবার কোনোটি একদম খালি, জাল বুনেছে মাকড়সা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই আবাসিক হলে এভাবেই উপকরণবিহীন পড়ে আছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ফার্স্ট এইড বক্সগুলো।
আরও পড়ুন : উচ্চফলনশীল পাকচোং চাষে খুবির গবেষকদের সাফল্য
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মূল ফটকের সামনে রাখা একটি ও সিড়িতে রাখা ৮টি ফার্স্ট এইড বক্সের কোনোটিতেই নেই কোনো উপকরণ। কয়েকটি বক্সে পড়ে আছে খালি পেপসির বোতল, কলার খোসা, পুরনো চাবি বা চায়ের ওয়ানটাইম কাপ। বাকিগুলো একদম খালি।
আরও পড়ুন : বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় খুবি
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হলের প্রধান ফটকে রাখা ফার্স্ট এইড বক্সে পড়ে আছি একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের খালি বোতল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর ছাত্র হল খান বাহাদুর আহছানউল্লা হলে ফটকের সামনে রাখা ফার্স্ট এইড বক্সে কিছু তুলা ও কয়েকটি উপকরণ দেখা যায়।
খান জাহান আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসিব আল বান্না বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সার্বক্ষণিক মজুত থাকা জরুরি। এর আগে ব্যাডমিন্টন খেলায় আহত হয়ে হলে ব্যান্ডেজ, স্যাভলন পাইনি, যেতে হয়েছিল ভার্সিটি মেডিকেলে। তাছাড়া এটি খেলার মাঠের পাশে তাই প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামের প্রয়োজন বেশি করে। হলের কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়গুলো নজরদারি করা।
আরও পড়ুন : খুবি শিক্ষার্থীদের গবেষণা : একই ধানগাছে দুবার ফলন
খান জাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. আব্দুল জব্বার বলেন, আমরা তো জানি না উপকরণ শেষ হয়ে গেছে। উপকরণ সবগুলো ছিল। রাখলে ওখান থেকে মিসিং হয়ে যায়। এখন আমরা কি করব। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে উপকরণ নেওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন