হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

হাবিপ্রবির দুই সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

দুই সাবেক উপাচার্য ড. আবুল কাশেম এবং ড. কামরুজ্জামান। ছবি : কালবেলা
দুই সাবেক উপাচার্য ড. আবুল কাশেম এবং ড. কামরুজ্জামান। ছবি : কালবেলা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাবেক দুই উপাচার্যে (ভিসি) ড. এম কামরুজ্জামান ও ড. মু. আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ভর্তিবাণিজ্য, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। ড. মু. আবুল কাসেম ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে এবং ড. এম. কামরুজ্জামান ২০২১ সালের ৩০ জুন সপ্তম উপাচার্য হিসেবে হাবিপ্রবিতে নিয়োগ পান।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ড. আবুল কাসেমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও ভর্তিবাণিজ্য, বড় বড় নির্মাণ প্রকল্পে কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন ল্যাবে সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিকসামগ্রী ও আসবাবপত্র ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া সদ্য সাবেক উপাচার্য ড. এম. কামরুজ্জামানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদক দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতাউর রহমান সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতাউর রহমান সরকার বলেন, হাবিপ্রবির সাবেক ভিসি ড. এম. কামরুজ্জামান ও ড. মু. আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, দশতলা ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও ল্যাবের মালামাল ক্রয়সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট চাওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রাপ্তি সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, দুদকের দুটি চিঠি হাতে পেয়েছি। এ ছাড়া দুদকের তদন্ত কমিটি আমাদের সঙ্গে দেখা করে দুই সাবেক ভিসির বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে নথি চেয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা এপ্রিল মাসটা সময় চেয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম সরকার বলেন, শুধু এম. কামরুজ্জামান ও মু. আবুল কাসেম নন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিবাজ সবার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তসাপেক্ষে বিচার করতে হবে এবং সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি একটি শক্তিশালী কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সড়কে প্রাণ গেল যুবদল নেতার

টিকটকের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি বাফুফের

দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, বাড়ল কত?

ভারতের নো-হ্যান্ডশেক নীতিতে পাল্টা অবস্থান পাকিস্তানের

পবিত্র কোরআনের বাণী স্মরণ করে আল্লাহর নির্দেশনা প্রার্থনা এনসিপি নেত্রীর

রোনালদো-মেসি এক দলে? গুজব নাকি বাস্তবতা

এনসিপি-জামায়াত জোট : রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন মাহফুজ আলম

হিরো আলম যোগ দিলেন আমজনতার দলে

সিরিয়ায় বিক্ষোভ ঘিরে সহিংস সংঘর্ষ, নিহত একাধিক

রাউজানে চূড়ান্ত প্রার্থী গোলাম আকবর খোন্দকার

১০

ভারতের অধিনায়ক হলে টিকতেন না স্টোকস!

১১

হাসনাত আব্দুল্লাহকে চেনেন না বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান

১২

দুই দিনে শেষ হওয়া অ্যাশেজ টেস্টে হতবাক এমসিজি কিউরেটর

১৩

জোটে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন নাহিদ

১৪

দুই আসনের মনোনয়পত্রে স্বাক্ষর করলেন তারেক রহমান

১৫

হেলমেট পরে এসে গুলি, এবার যুবদল নেতার মৃত্যু

১৬

চট্টগ্রাম-৬ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত টিকিট পেলেন যিনি

১৭

বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ, ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

১৮

বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

১৯

জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিল আরও এক দল

২০
X