জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবিতে সংগীত উৎসব উদযাপিত

সংগীত উৎসবে শিল্পীরা। ছবি : কালবেলা
সংগীত উৎসবে শিল্পীরা। ছবি : কালবেলা

ছয় বছর পর চতুর্থ সংগীত উৎসব উদযাপন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগ। দিনব্যাপী উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ’। দিনব্যাপী গানে গানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সদ্য প্রয়াত শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদারকে উৎসর্গ করে বিজ্ঞান ভবনের মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবের সূচনা হয় সকালে সেমিনার দিয়ে। দিনব্যাপী সংগীতের মাধ্যমে রাত ৯টার সময় এই উৎসব শেষ হয়। এদিন উৎসবে ‘সার্বিক স্বরূপ সমীক্ষণ : সংগীত ও সংবিৎ’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ড. আলী এফ এম রেজোয়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চতুর্থ সংগীত উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হাসান।

এদিন অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী। বিকাল ৩টায় দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রয়াত প্রত্যাশার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর পরিবেশিত হয় উদ্বোধনী সংগীত ‘ধ্বনিল আহ্বান’ এবং ‘ও আলোর পথযাত্রী’।

আয়োজনে সমবেতভাবে অষ্টপ্রহরের রাগ, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, দেশাত্মবোধক গান, আধুনিক গান, উপশাস্ত্রীয় সংগীত ও লোকসংগীত। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল ‘সাগর বাউল’ এবং সম্মেলক পরিবেশনায় ছিল ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ পরিবেশিত হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।

উৎসবে শিল্পী শাহীন সামাদকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজনের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, লাইসা আহমদ লিসা, প্রিয়াংকা গোপ, সাগর দেওয়ানসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, তোমরা কখনও স্বার্থপর হয়ো না। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু পরিবারের সদস্যদের জন্য চিরদিনের বেদনা বয়ে আনে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-পরবর্তী সময়ে দেশে মুক্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের সমৃদ্ধ দেশীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পারব। সংগীত শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি জাতির প্রেরণার উৎস। মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং জুলাই বিপ্লবে সংগীতের শক্তিই আমাদেরকে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছে, ঐক্যবদ্ধ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা প্রত্যাশা মজুমদারকে স্মরণ করছি। এমন সম্ভাবনাময় প্রাণের অকালপ্রয়াণে আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করে। এই ঘটনা আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে আমাদেরকে মানবিক হতে হবে, কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন অন্ধকার পথে পা না বাড়াই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার

নতুন প্রজন্ম শান্তিপূর্ণ রাজনীতি প্রত্যাশা করে : ইশরাক

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ

‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের আপনজন’

২০ বছরের ব্যবসা বাঁচাতে ছাড়লেন চেয়ারম্যান পদ

তাসনিম অনন্যার অনুসন্ধানে মহাবিশ্বের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে ফ্রান্স

নুরুদ্দিন অপুর হাত ধরে আ.লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল

১০

২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা

১১

রাতে আবার হাসপাতালে গেলেন জুবাইদা রহমান

১২

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ

১৩

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে রক্তক্ষরণ

১৪

‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’

১৫

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

১৬

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

১৭

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফ্রি যাত্রীসেবা

১৮

বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

১৯

যুবদল নেতা সুমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২০
X