ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে এসএম ফাইজুল হক ঈশানকে আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রদানের নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার আদালত রুল অ্যাবসলুট করে এ রায় দেন।
২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তিনজন প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এসএম ফাইজুল হক ঈশান ওই পদের জন্য আবেদন করলে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড সভায় তিনিসহ মোট তিন জন নির্বাচিত হন এবং তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। পরে সিন্ডিকেট বোর্ড দুইজনের নিয়োগের সুপারিশ করলেও ফাইজুলকে নিয়োগ প্রদান না করলে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করে স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রদান করেন।
ওই রুলের শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার আদালত রুল অ্যাবসলুট করে রায় প্রদান করেন এবং আগামী এক মাসের মধ্যে এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন।
শুনানিতে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, নির্বাচনে নিয়োগ বোর্ড যখন কোন ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ প্রদান করেন তখন সিন্ডিকেটের কোনো কারণ ছাড়া নিয়োগ প্রদান না করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সিন্ডিকেট ফাইজুলকে কোনো রকম কারণ উল্লেখ না করেই নিয়োগ প্রদান হতে বিরত থেকেছেন যার কারণে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিন্ডিকেট আইন অনুসরণ না করেই এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে বিগত সাত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা হতে বঞ্চিত করেছেন। বিগত সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন, বিধি বিধান ও মেধা বিবেচনা না করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। যার ফলে অনেক মেধাবীরাও বঞ্চিত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডার এবং স্ট্যাউট অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে সিন্ডিকেটকে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ফাইজুলকে নিয়োগ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে।
রিট আবেদনকারী হলেন এস এম ফাইজুল হক ঈশান অপরদিকে বিবাদিরা হলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও ঢাকা ভার্সিটি প্রশাসনসহ মোট ২২ জন।
বাদী পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আহমেদ ইসতিয়াক।
মন্তব্য করুন