মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘চায়না দুয়ারী’ জালের ছড়াছড়ি, অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় মাছ

চায়না দুয়ারী জালে মাছ শিকার। ছবি : কালবেলা
চায়না দুয়ারী জালে মাছ শিকার। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ও মহিপুর থানার বিভিন্ন খালে ‘চায়না দুয়ারী’ নামক বিশেষ এক ধরনের জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে মাছ শিকার করছেন স্থানীয়রা। এতে দিনে দিনে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় মাছ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সরেজমিনে মহিপুর থানার সবকটি ইউনিয়নেই একই দৃশ্য দেখা গেছে। ছোট খালগুলোতে এসব অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার হচ্ছে অবাধে। খুব সহজে বেশি মাছ ধরার এই ফাঁদ ব্যবহারে ভবিষ্যতে দেশীয় প্রজাতির মাছ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সব ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ এ জালের ফাঁদে ধরা পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে মাছের প্রজনন বেশি হওয়ায় এ জালের উৎপাত থাকে বেশি। দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় বিভিন্ন মাছ চায়না দুয়ারী নামক জালে নিধন হচ্ছে। এতে ক্রমেই মাছশূন্য হয়ে উপকূলের খাল-বিল। স্থানীয় জেলেরা জানান, চায়না দুয়ারী জালে খালের সব ধরনের মাছ ছেঁকে ওঠে। এসব জাল বন্ধ না হলে মাছ সংকটে পড়বে স্থানীয় জেলেরা।

মহিপুরের স্থানীয় বাসিন্দা সোনা মিয়া বলেন, চায়না দুয়ারী জাল সারা রাত নদীতে পেতে রাখার পর সকালে তুলে আনা হয়। এ জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির সব ধরনের মাছ মারা পড়ে। এসব জাল বন্ধ না হলে মাছ সংকটে পড়বে স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে বলেন, চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ ধরা ঠিক না। তারপরও জীবিকার তাগিদে মাছ ধরছি।

কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা কালবেলাকে বলেন, আমাদের মৎস্য অধিদপ্তরের সুরক্ষা আইন ১৫০ এর ধারায় জালটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ জাল আমাদের জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

তিনি আরও বলেন, এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এই জালের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নিয়ে যেতে আমরা মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে আমরা একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেছি। এ জাল বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন ভূমিকায় মিরাজ, ব্যাটিং অর্ডারেও আনছেন পরিবর্তন

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন চক্রান্তের পদধ্বনি : খতমে নবুওয়ত

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় / সাবেক দুই মন্ত্রীর স্বজনসহ ৫ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

দুই দফা কমে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন সুস্মিতা রায়

ঢাবিতে রিকশাচালকের মৃত্যু 

বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মানছেন আসালাঙ্কা

জুনে এলো তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে আর নেই : জয়া আহসান

১০

গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

১১

যে খাবারগুলো ইচ্ছেমতো খেলেও বাড়বে না ওজন

১২

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯০০ ফুট নিচে নেমেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান

১৩

সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই বলেছি : মির্জা ফখরুল

১৪

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসসহ আসামি ৩৮

১৫

৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে দেশসেরা শরীফ খান

১৬

মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ড : ফজর আলীর ছোট ভাইকে খুঁজছে পুলিশ 

১৭

মোস্তাফিজকে নিয়ে লঙ্কান শিবিরে বাড়তি সতর্কতা

১৮

রাবিতে সিওআইবির সহযোগিতায় অভিযান, আট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৯

বিএনপির দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৪০

২০
X