যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তার কারাগারে

অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার। ছবি : সংগৃহীত

দুদকের মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৬ জুন) মামলার ধার্য তারিখে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার। বিচারক শেখ নাজমুল আলম জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপর দুই আসামি হলেন- যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপউপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লেখিতদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আর একজন সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি ড. প্রফেসর আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।

মামলায় আরও বলা হয়, আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতনভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আল্লাহ ন্যায়বিচার করছেন : শহীদ জসিমের বাবা

যুবদল নেতা কিবরিয়াকে হত্যা, যা বললেন স্বজন ও স্থানীয়রা 

সকালে গোসল করা ভালো, নাকি রাতে

বার্সার ক্যাম্প ন্যু উদ্বোধন নিয়ে নতুন বিতর্ক

গণভোটের ব্যালটে যেসব প্রশ্ন থাকবে, জানাল সরকার

বিকেএসপিতে সিজিএস টাইপ-এ প্রমোশনাল সেমিনার অনুষ্ঠিত

২৮ বছর পর বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেন দিনমজুর নূর ইসলাম

বরিশালে বাসে আগুন

বিশ্বমঞ্চে জেসিয়া, চাইলেন ভোট

জকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা 

১০

দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর 

১১

ভাত খেলেই কি আপনার ক্লান্ত লাগে আর ঘুম পায়? জানুন এটি কীসের ইঙ্গিত

১২

উখিয়ায় বন্যহাতির মৃত্যু

১৩

শেখ হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি মন্ত্রণালয়গুলোতে যাচ্ছে না আজ

১৪

আশুলিয়ায় পিকআপে অগ্নিসংযোগ

১৫

হাসিনা-কামালের রায় নিয়ে যা জানাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

১৬

একই গ্রামে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন আহত

১৭

ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

১৮

ঢাবির জসীম উদ্‌দীন হলের একই রুম থেকে বিসিএস ক্যাডার হলেন ইমতিয়াজ-জাকির 

১৯

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ নিয়ে যা জানা গেল

২০
X