জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালসহ ৪টি হলের নাম পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ প্রস্তাবনা দেয় সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জনিয়ে বলা হয়, ‘১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আন্দোলন একই মুক্তির বোধ থেকে উৎসারিত। ’৭১ ও ’২৪ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একই মুক্তির বোধের পরিচায়ক। তাই বঙ্গন্ধুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন, তাকে অস্বীকার করে ’৭১ ও ’২৪-কে প্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থানে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা। যা প্রকৃতপক্ষে স্বৈরাচারী ‘রেজিমেরই’ মনোবৃত্তি। এই অপচেষ্টা পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে যাবে। আমরা সর্বকালের (৭১ থেকে ২৪) মুক্তির বোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীলরা তা হতে দিতে পারি না। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুক্তিকামী বোধের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমাদের এই প্রস্তাবনা। তাই, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের প্রস্তবনা ব্যক্ত করছে।
এতে আরও ৩টি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের দাবি জানান তারা। এগুলো হলো- শেখ রাসেল হলের পরিবর্তে লালন শাহ হল অথবা কাঙাল হরিনাথ মজুমদার হল, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে কাঁকন বিবি হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তে চন্দ্রাবতী হল।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক যাত্রা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর দৃঢ়ভাবে নিহিত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের বিশ্বাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের নামকরণে বহুমাত্রিক সংস্কৃতি, মনন ও শিল্পবোধের প্রতিফলন থাকা জরুরি। যার লক্ষে সংস্কৃতিজনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের জন্যই আমাদের এই প্রস্তবনা। তাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, নারীর সাহসিকতা, সাহিত্যচর্চার ঐতিহাসিকতা ও সংস্কৃতিবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির দিকগুলো বিবেচনা করে নামকরণের এই দাবি জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন