জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘জনপ্রশাসন সংস্কার ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ : জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষিত’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে জনপ্রশাসনের সমসাময়িক প্রেক্ষাপট, সংস্কার ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সভাকক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারের শুরুতেই রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা জনপ্রশাসনের পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা, সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, জনগণের আস্থা পুনর্গঠন ও নাগরিক-রাষ্ট্র সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন, নতুন সামাজিক চুক্তির ভিত্তি রচনার বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেন। এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনপ্রশাসনের সংস্কার ও প্রেক্ষিত নিয়ে তারা আলোচন করেন।
সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা লাসনা কবীর। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা। এছাড়াও আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ছাত্র উপদেষ্টা ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেওয়ান নুসরাত জাহান। স্বাগত বক্তব্য দেন সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সুবাহ্ সামারা।
সেমিনারে বক্তারা প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হলে সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার অপরিহার্য বলে জানান। বক্তারা যুব সমাজকে প্রশাসনিক সংস্কার ও নীতিনির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় বক্তারা জনপ্রশাসন ব্যবস্থার অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার বাস্তবভিত্তিক সমাধানের পথের ওপরও আলোচনা করে। প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুমান মাহফুজের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আছমা বিনতে ইকবাল।
মন্তব্য করুন